করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কৃতি শ্যানন। সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরবেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, ২০২০ সাল সম্ভবত তাঁর জীবনের বীভৎসতম বছর। সম্ভব হলে বছরটিকে জীবন থেকে মুছে ফেলতে চান তিনি।
২০২০ সালের শুরুটা ভালোভাবেই হয়েছিল কৃতির। তবে মার্চে থেমে যায় তিন ছবির কাজ। বলিউডের অন্য তারকাদের সঙ্গে ঘরবন্দী হয়ে পড়েন কৃতিও। সেসব কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘লকডাউন শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত আমি টানা কাজ করে যাচ্ছিলাম। তারপর সব গেল এলোমেলো হয়ে। অবশ্য মা–বাবা মুম্বাইয়ে আমার বাড়িতে চলে আসায় খানিকটা স্বস্তি পেয়েছি। আর আমি লকডাউন শুরু করেছিলাম সচেতনতামূলক, উদ্দীপনামূলক ভিডিও, লেখা পোস্ট করে। লকডাউনে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ি। তারপর একসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছেড়ে চলে যাই।’
সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর বাধ্য হয়েই কৃতি ছেড়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তবে মাঝেমধ্যে আসতেন। কবিতা বা ছবি পোস্ট করেই বেরিয়ে যেতেন। কে কী বলছেন, কোথায় কী চলছে, সেসব দেখতেন না তিনি। তখনকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘চারপাশে কেবল আওয়াজ আর আওয়াজ। এত আওয়াজের ভিড়ে আমি কিছুই শুনতে পারছিলাম না। এসব নেতিবাচকতার অংশ হতে চাইনি। তাই নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলাম। কেবল আমি যা অনুভব করেছি, সেটা ভাগ করে নিতে চেয়েছি। লোকে যা শুরু করল, তা বীভৎস, কল্পনাতীত। আমি সেসবের অংশ হতে চাইনি। আমি এখন নিজের জন্য ডায়েরি লিখি। কখনো যদি মনে হয়, সবার সঙ্গে ভাগ করে নেব।’
তবে এই মুহূর্তে ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে রয়েছেন কৃতি। তাঁর অভিনীত মিমি ছবিটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। হাম দো হামারে দো সিনেমার শুটিং শেষ। চলছে প্রযোজনা–পরবর্তী কাজ। বচ্চন পান্ডে আর বেধিয়া ছবির শুটিং চলছে। এ ছাড়া তেলেগু আর হিন্দি ভাষার ছবি আদিপুরুষ-এ তিনি হবেন রাধা।