বলিউডের সঙ্গে দূরত্ব দুই যুগেরও বেশি সময়। এই দীর্ঘ সময় ভারতের মাটিতেও পা রখেননি। অবশেষে নিজ দেশে ফিরেছেন নব্বই দশকের আলোচিত অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। দেশে ফিরেই ভেঙেছেন নীরবতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অকপটে বলে গেছেন, কী ঘটেছিল তাঁর জীবনে। মমতার কথায়, ‘ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এবং মাদকের মামলায় নাম জড়ানো নিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকে নানা রকম গল্প তৈরি করেছেন। সেসব গল্প আমার কানে এলেও এ নিয়ে মুখ খুলিনি। কারণ সত্যিটা আমার চেয়ে অন্য কেউ ভালো জানে না। সত্যিটা হল, ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা ১৯৯৬ সালে। এর পর ধীরে ধীরে আমদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সম্পর্ক গড়ে ওঠার এক বছর পরই ১৯৯৭ সালে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১২ বছর জেলে ছিল ভিকি। যার মধ্য দীর্ঘ আট বছর আমাদের কোনো দেখা-সাক্ষাৎই হয়নি। সে সময় আমিও পুরোপুরি আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করেছি। কিন্তু তাঁর প্রতি যে ছিল, তা এখনও আছে, আগামীতে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষ ২০১২ সালে ভিকির চাওয়াতে তাঁর সঙ্গে দেখা করি। এর পর আমি কুম্ভ মেলায় স্নান করতে যাই আর ভিকি পাড়ি জমায় কেনিয়ায়। এই হলো ভিকির সঙ্গে আমার সম্পর্কের গল্প।’
মাদক মামলা নিয়ে মমতার ভাষ্য, ‘মামলায় নাম জড়ানোর খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ আমার তো তখন কোনো কিছুর অভাব ছিল না। মানুষ টাকার জন্য এসব করে। সেই সময়ে আমার হাতে ছিল ১০টি বড় বাজেটের সিনেমা, ছিল তিনটি বাড়ি, একাধিক গাড়ি ও যথেষ্ট ধন-সম্পদ। তাহলে কেন এসব করতে যাব।
মমতা বলেন, ‘আমার ধারণা, ভিকির জন্যই মাদক মামলায় আমার নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এক পুলিশ কমিশনার আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। একই সঙ্গে আমাকে পলাতক বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। অবাক করা বিষয় হলো, সেই কমিশনার আজ কোথায় সে ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।’