২০০৭ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া। সেই হাইপ্রোফাইল বিয়েতে সংবাদমাধ্যম উঁকি পর্যন্ত দিতে পারেনি। তাই আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিয়ের আগে কয়েক মাস থেকে পরের কয়েক মাস- বিয়ে ঘিরে জল্পনাও ছিল অনেক বেশি। সেই সঙ্গে রটনাও। সে সময় শোনা গিয়েছিল, অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের আগে বারাণসীতে গাছের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঐশ্বরিয়ার। সত্যি কি তাই হয়েছিল? বিয়ের এক বছরের মাথায় নিজেই জবাব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
বিয়ের এক বছর পর ২০০৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে এই গুজব নিয়ে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। জানিয়েছিলেন, বিদেশে গিয়েও এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। অনেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “‘তুমি কি অভিশপ্ত?”
সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ রকম গুজব যে রটতে পারে, তার কি কোনও ধারণাই ছিল না? জবাবে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, “কিছুটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু তা বলে এতটা নয়।”
এরপরেই গাছের সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, “ওই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়েছিল। আমার মনে হয়, এতটা করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। ওই একটা গুজবের জন্য যত কাগজ ও কালি খরচ হয়েছে, টিভি শোয়ে যত বিতর্ক হয়েছিল, তার কোনও প্রয়োজন ছিল না। পরিবার হিসেবে আমরা খুবই নিবিড়। আমাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই দিন রাত লোকসমক্ষে থাকি। তারপরেও এই ঘটনা নিয়ে আমরা ব্যক্তিগতভাবে মুখ খুলিনি। বরং সেই দায়িত্ব দিয়েছিলাম পরিবারের প্রধান, বাবাকে (অমিতাভ বচ্চন)। বাবাই সংবাদমাধ্যমকে জবাবটি দিয়েছিলেন।”
কী বলেছিলেন অমিতাভ? গাছের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ের অভিযোগ উড়িয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, এ সব কুসংস্কারে তার পরিবার বিশ্বার করে না। এমনকি, ঐশ্বরিয়ার জন্মকুণ্ডলীও তাদের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়নি। এরপরই বিগ বি বলেছিলেন, “যে গাছের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়েছিল, সেটা কোথায়? দয়া করে আমাকে দেখাবেন। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে এক মাত্র আমার ছেলেরই বিয়ে হয়েছিল। আর অভিষেক নিশ্চয়ই গাছ নয়।”