নাসিম রুমি: দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় ব্যাপক সাফল্যের পর ১৯৭৯ সালে হিন্দি সিনেমায় অভিষেক হয় শ্রীদেবীর। মাঝে কয়েক বছর বিরতি দিয়ে জিতেন্দ্রর সঙ্গে পরপর ছবি করেন। ইন্ডাস্ট্রিতে রটে যায় দুজনের সম্পর্কের কথা। শোনা যেত, ছবির শুটিংয়ে গিয়ে দুজনে নাকি হোটেলের একই রুমে থাকতেন। তবে জিতেন্দ্র নন, পরের দিকে বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন চাউর হয়। এমনকি তাঁরা বিয়ে করেছিলেন, এটাও বলিউডে বহুল প্রচলিত।
ভারতের বাইরে বিভিন্ন শো করতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর কাছাকাছি আসেন শ্রীদেবী। গুঞ্জন, কাজের সূত্রে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। মিঠুন তখন যোগিতা বালির স্বামী। মিঠুন ও শ্রীদেবী সম্পর্কটাকে ‘গুঞ্জন’ বলে উড়িয়ে দেন।
পরে একটি পত্রিকায় তাঁদের ম্যারেজ সার্টিফিকেটের ছবি প্রকাশিত হলে মিঠুন নাকি শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন। একটা সময় তাঁরা মাড আইল্যান্ডে সাত মাস থেকেছিলেন বলেও শোনা যায়। তবে মিঠুন-শ্রীদেবীর সম্পর্কের স্থায়িত্ব খুব বেশি দিনের ছিল না।
মিঠুন ও শ্রীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে অভিনেত্রী সুজাতা মেহতা জানান, একে অপরকে নাকি পাগলের মতো ভালোবাসতেন মিঠুন ও শ্রীদেবী। তবে সেই সময়ে মিঠুন ছিলেন বিবাহিত। যোগিতা বালি তখন মিঠুনের স্ত্রী। তাঁদের দুই ছেলেও রয়েছে তখন, মিমো ও নমশী। সেই সময়ে নাকি পারিবারিক অশান্তির কারণেই ভেঙে যায় মিঠুন ও শ্রীদেবীর সম্পর্ক। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে একেবারেই নিজেকে সামলে নিতে পারেননি শ্রীদেবী। শুটিং ফ্লোরে এসে তিনি নাকি চুপ করে একটা কোনায় বসে থাকতেন। কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
কিন্তু শ্রীদেবী ছিলেন ভীষণ কাজপাগল। নিজের কাজকে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। তাই যখন ক্যামেরা চালু হতো, তিনি সব ভুলে কেবল অভিনয়টাই করতে পারতেন। কিন্তু বাকি সময়টা সবার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন শ্রীদেবী।