নাসিম রুমি: সত্তরের দশকের ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ অমিতাভ বচ্চন। তার ভরাট কণ্ঠ এবং অভিনয়-জাদুতে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। বয়সকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে ৮২ বছরে পা দিলেন বলিউডের শাহেনশাহ। যেই দিনটির জন্য ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন প্রিয় অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। নিজেদের মতো করে উদযাপনও করেন।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ১৯৪২ সালের ১১ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদের এক হিন্দু-শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হরি বংশ রাই বচ্চন একজন নামকরা হিন্দি কবি ছিলেন। তার মা তেজি বচ্চন ফৈসলাবাদের (বর্তমান পাকিস্তান) এক শিখ-পাঞ্জাবী ছিলেন।
১৯৬৯ সালে মাত্র বিশ বছর বয়সে তিনি সিনেজগতে আত্মপ্রকাশ করেন। সাত হিন্দুস্তানি নামক একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সাতটি প্রধান চরিত্রের একটিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭০-এর প্রথম দিকে তিনি বলিউড সিনেমা জগতে ‘রাগী যুবক’ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন তিনি।
কর্মজীবনে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বারোটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অজস্র গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। ফিল্মফেয়ারের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারের বিভাগে তিনি সর্বাধিক মনোনয়ন পাওয়ার রেকর্ড করেছেন। অভিনয় ছাড়াও তাকে নেপথ্য গায়ক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, টেলিভিশন সঞ্চালক হিসেবেও দেখা গেছে।
তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘আনন্দ’, ‘পরওয়ানা’, ‘রেশমা ঔর শেরা’, ‘বাওয়াটি’, ‘বম্বের টু গোয়া’, ‘জঞ্জীর’, ‘অভিমান’, ‘নেমক-হারাম’, ‘কুঁওয়ারা বাপ’, ‘দোস্ত’, ‘রোটি কাপড়া অর মকান’, ‘মজবুর’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘দিওয়ার’, ‘শোলে’, ‘কাভি কাভি’, ‘অমর আকবর অ্যান্থনী’, ‘কসমে ওয়াদে’, ‘ত্রিশূল’, ‘মুকদ্দর কা সিকান্দর’, ‘মিস্টার নটবরলাল’, ‘কালা পাত্থার’, ‘দোস্তানা’, ‘সিলসিলা’, ‘রাম বলরাম’, ‘লাওয়ারিস’, ‘ডারনা জারুরি হেয়’, ‘কাভি আল বিদা না কেহনা’ ইত্যাদি।