শুটিংয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেত্রীকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে চিকিত্সা দেওয়া হয়। ঘটনা বৃহস্পতিবারের। রাজধানীর উত্তরার একটি হাউজে শুটিং চলছিল।
তিন তলায় শুটিং করছিলেন টয়া, কাকতালীয়ভাবে একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় শুটিং করছিলেন টয়ার স্বামী অভিনেতা সৈয়দ জামান শাওন। টয়া ভালোবাসা দিবসের ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’র নাম ঠিক না হওয়া নাটকের শুটিং করছিলেন। পরিচালক রাসেল শিকদার শুটিংয়ে ড্রোন ব্যবহার করছিলেন। একটা সময় ড্রোনটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে টয়ার চোখের সামান্য ওপরে আঘাত হানে, সঙ্গে সঙ্গেই রক্তাক্ত হন তিনি। খবর পেয়ে শাওন তিনতলায় উঠে আসেন শাওন এবং টয়াকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর দুটি ইউনিটেরই শুটিং বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ড্রোন আঘাত করার আগমুহূর্তে টের পেয়েছিলেন টয়া, সরে যেতে চাইলেও শেষ রক্ষা হয়নি। টয়ার চোখের ওপরে বেশ খানিকটা কেটে গেছে, অনেকগুলো সেলাই দিতে হয়েছে। করতে হয়েছে কসমেটিকস সার্জারি।
সেদিন দোতলায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করছিলেন শরাফ আহমেদ জীবন। শাওন অভিনয় করছিলেন তথ্যচিত্রটিতে। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে নির্মাতা-অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘আমরা মনোযোগ দিয়ে শুটিং করছিলাম। ওপর তলা থেকে টয়ার আহত হওয়ার খবর এলে শাওন দৌড়ে চলে যান, পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ কারণে দোতলা ও তিন তলার শুটিং বন্ধ রাখতে হয়।’
টয়া এখন বাড়িতেই সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন।
সৈয়দ জামান শাওন ও মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।