আগেই কথা দিয়েছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলে প্রতিটি সিনেমার প্রচারণা করবেন। ইলিয়াস কাঞ্চন তার কথা রেখেছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলে সশরীর হাজির থেকে সিনেমার প্রচারণা করেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ খ্যাত এ নায়ক।
শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্ত বাপ্পী চৌধুরী ও অপু বিশ্বাস অভিনীত এবং দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’। হলে বসে টিমের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। পরে জানান, ‘সিনেমাটি তার কাছে ভালো লেগেছে’।
ইলিয়াস কাঞ্চন দর্শকদের হলে গিয়ে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ সিনেমাটি দেখার জন্য আহ্বান জানান।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘চাই না জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই ইন্ডাস্ট্রি শেষ হয়ে যাক। দর্শক সিনেমা হলে কম আসায় সিনেমা ভালো চলে না। সে জন্য দর্শকদের হলে আসার অনুরোধ জানাই। শিল্পীদের বলবো, আপনারা কাজে আরও বেশি মনোযোগ দিন। পরিচালকরা যেন তাদের দক্ষতা প্রমাণ করে আরও ভালো করে সিনেমা নির্মাণ করেন।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থার জন্য কিছু ভুল কাজ কাজ দায়ী। সেই ভুলটা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। এসব ভুলের মধ্যে পাইরেসি, অশ্লীলতা সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। এসব ভুল যেন আমাদের আর না হয়। মানুষের সিনেমা দেখার জন্য আগ্রহ তৈরি করাতে হবে। সেই আগ্রহ বাড়ানোর জন্যই আজকে প্রথমদিন সকালে উঠেই আমি সিনেমা হলে এসেছি।
ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশাপাশি তার শিল্পী সমিতির নির্বাচনী প্যানেলের সদস্য নিপুণ, সাইমন সাদিকরা নিজেদের ফেসবুকেও ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’-এর পোস্টার শেয়ার করে দর্শকের হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানান।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলে প্রথম শোতে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, নায়ক বাপ্পী চৌধুরীসহ অনেকে।
বাপ্পী বলেন, কাঞ্চন ভাইয়ের মতো মানুষ যখন আমার পাশে বসে সিনেমাটা দেখলেন এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। তার মতো সব শিল্পী যদি সিনেমাকে প্রমোট করেন তবে হয়তো আমরা আমাদের সিনেমার সেই সোনালী অতীত আবার ফিরে পাবো।
ধন্যবাদ -নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন কে। কারণ তিনি বলেছেন পাইরেসি ও অশ্লীলতা প্রধান দায়ী চলচিত্র সিনামা হলে গিয়ে না দেখার জন্য । আমিও একমত কারণ এত পাইরেসি হয়ে সিনেমা নির্মাান করেছে যে, ঘটনার আগেইা দর্শক বুঝে নিত এখন এই ডায়লগ দিবে এবং এই অভিনয় করবে।
আরে ভাই দুনিয়াতে কি নতুনত্বের অভাব আছে যে এত নকল কাহিনী লিখতে হবে। মানুষের সামাজিক জীবন যাপনে প্রতিট অঞ্চল রয়েছে নানা ঘটনা, সংগ্রাম ও রাজননীতি।
সিনেমার অভিনয়ের মাধ্যমে জানতে পরবো না অঞ্চলের সামাজিক অবস্থার কথা তাদের কৃষ্টিকালচার। যেমন পদ্মা নদীর মাঝি একটি জেলে পল্লীর সামাজিক অবস্থা নিয়ে ঘটনা রচনা করা হয়েছে। তেমনি পাহাড়ী অঞ্চল নিয়ে হতে পারে। নওগাঁর সাঁওতাল গোষ্ঠী নিয়ে সিনামা হতে পারে। সেখানে তাদেরও প্রেম দুঃখ বিহর সংসার রয়েছে। অর্থাৎ অজানা বিষয় নিয়ে সিনেমা নির্মিত হবে। মানুষ জানার জন্য অগ্রহ ভরে হলে সিনেমা দেখতে যাবে।