করোনার ধাক্কায় দর্শকদের ওটিটি নির্ভরতা বাড়া এবং পরবর্তীতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট কোণঠাসা করে ফেলেছিল বলিউড সিনেমাকে। মাঝে বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেলেও সেভাবে বক্স অফিস মাতাতে পারেনি। তখন অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন বলিউডের দিন শেষ! মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দর্শকরা। অথচ সেই সমালোচকদের চোখের পর্দা সরিয়ে দিলো বলিউড বাদশা শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাডুকোনের ‘পাঠান’।
দীর্ঘ ৪ বছর পর বাদশা যেন নিজের ছন্দেই ফিরলেন। পাশাপাশি শাহরুখ-দীপিকা জুটি মানেই যে দর্শকদের কাছে বিশেষ কিছু সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। শুরু থেকে ‘পাঠান’ ঘিরে নানা সমালোচনা চললেও মুক্তির দিনই ভারতীয় সিনেমার রেকর্ডে ভাগ বসালো সিনেমাটি। প্রথমদিনই সিনেমাটি দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ঘরে তুলেছে প্রায় ১১০ কোটি! শুধু ভারত থেকেই সিনেমাটির আয় করেছে ৫৫ কোটি। যা পেছনে ফেলেছে দক্ষিণী সুপারহিট সিনেমা ‘কেজিএফ টু’-কেও। এই সিনেমাটির প্রথম দিনের আয় ছিল ৫৩ কোটি ৯৫ লক্ষ।
পাঠানের এই ব্যবসার প্রায় অর্ধেক উঠে এসেছে পিভিআর, আইনক্স, সিনেপোলিস থেকে, যার পরিমাণ ২৭ কোটির কাছাকাছি। কেজিএফের পাশাপাশি পাঠান পেছনে ফেলেছে শাহরুখের প্রতিদ্বন্দ্বী হৃতিক রোশন, আমির খান, সালমান খানকেও।
এমনকি নিজের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমাও বলে বলে গোল দিয়েছেন শাহরুখ। যাদের প্রথম দিনের ব্যবসার অঙ্ক ছিল ৪৪ কোটি ৯৭ লক্ষ ও ৩৩ কোটি ১২ লক্ষ। সেই দুই সিনেমাতেও শাহরুখের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ‘পাঠান’-এর রুবিনা, দীপিকা পাডুকোন। ‘পাঠান’ শুধু বক্স অফিস রেকর্ড গড়ছে এমনটাও নয়। সিনেমাটিতে শাহরুখ, দীপিকা, আব্রাহামের অভিনয় এবং ক্যামিও চরিত্রে সালমানের উপস্থিতিও দারুণ প্রশংসিত হচ্ছে দর্শক-সমালোচকদের কাছে। পাশাপাশি সহকর্মীদের কাছ থেকেই পাচ্ছেন প্রশংসাবাণী। বরাবরই অন্যের সমালোচনা করা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো অভিনেত্রীও ‘পাঠান’-এর জয়গান করতে ভুল করছেন না। অন্যদিকে দর্শকরা সিনেমাটি দেখার পর নানা মাধ্যমে শাহরুখ-দীপিকার সিনেমা দেখে পয়সা উসুল হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন। এমনকি দীপিকার ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমাগুলো যে শাহরুখ ছাড়া সম্ভব নয়-এমন মন্তব্যও করছেন অনেকে। তাদের মতে, দীপিকার ক্যারিয়ার বরাবরই শাহরুখের হাতে। শাহরুখ আছেন বলেই দীপিকা আজ ক্যারিয়ারের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছেন। নিজের এমন সাফল্যে দীপিকা বলেন, ‘শাহরুখের সাথে জুটি মানেই দর্শকের অধিক ভালোবাসা। ক্যারিয়ারে অনন্য অর্জন। তাই শাহরুখের আগামী সব ছবির নায়িকা থাকতে চাই।’