শাকিরাকে অনুসরণ এবং উত্ত্যক্ত করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিয়ামি পুলিশ। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই শাকিরা ও তাঁর দুই সন্তানকে অনুসরণ ও ভয় দেখিয়ে আসছিলেন সেই ব্যক্তি, যাঁর নাম ড্যানিয়েল জন ভ্যাল্টায়ার। শাকিরাকে নিজের স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেছেন সেই ব্যক্তি।
ডব্লিউএসভিএনের প্রতিবেদন অনুসারে, টেক্সাসের ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি গায়িকাকে অনুসরণ করতে করতে তাঁর বাড়ির সামনে হাজির হন। ওই ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পপকুইন শাকিরাকে হুমকিমূলক এবং বিরক্তিকর বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি শাকিরার বাসভবনের সামনে সেই ব্যক্তিকে বিচরণ করতে দেখে শাকিরা তাঁর আইনজীবীর সহায়তা নেন। বিশেষত নিজের দুই সন্তান সাশা ও মিলানের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ভয় পেয়েছিলেন গায়িকা।
যখন তিনি জানতে পারেন সেই অনুসরণকারী ট্যাক্সিযোগে তাঁর বাসভবনে পৌঁছেছেন, তখন শাকিরা বিষয়টি গুরুত্ব দেন এবং আইনি সহায়তা নেন। তারপর সেই ব্যক্তিকে মিয়ামি বিচ পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং শাকিরাকে পিছু নেওয়ার অভিযোগে তাঁকে আদালতে হাজির করে।
আদালতে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তি বিচারকের সামনে দাবি করেছেন, শাকিরা তাঁর স্ত্রী এবং তিনি তাঁর সাথে সব সময় কথা বলতেন। বিচারক ইতিমধ্যে ৫০ হাজার ডলারের বিপরীতে তাঁর জামিন নির্ধারণ করেছিলেন, কিন্তু আসামি বারবার দাবি করেন যে তিনি গায়িকার স্বামী ছিলেন, যার ফলে বিচারক জামিনের আর্থিক দণ্ড বাড়িয়ে এক লাখ ডলার করেন।তবে এই প্রথমবার নয় যে শাকিরাকে অনুসরণ করা হয়েছে। মিয়ামিতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এর আগেও দুজন ব্যক্তি অনুসরণ করেছিল গায়িকাকে। যার মধ্যে একজন রাস্তায় তাঁকে দেখে চিৎকার করেছিলেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। অপর একজন ফরাসি ভক্ত শাকিরার বাড়িতে হাজির হন এবং তাঁর মেইল বক্সে চিঠি রেখে যান।এ ব্যাপারে শাকিরা ইতিমধ্যে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।প্রাক্তন প্রেমিক পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মিয়ামিতে স্থানান্তরিত হয়েছেন শাকিরা। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে মিয়ামিতেই রয়েছেন গায়িকা। ১১ বছর একসাথে থাকার ২০২২ সালে বিচ্ছেদ ঘটে শাকিরা-পিকের। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে আসে, পিকের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ব্রেকআপ হয়েছিল দুজনের। পিকে ক্লারা চিয়া মার্টি নামের এক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ান এবং শাকিরার সঙ্গে প্রতারণা করেন। এর পরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন শাকিরা। সাম্প্রতিক সময়ে কর ফাঁকির মামলায় বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিয়ে আলোচনায় ছিলেন এই বিখ্যাত পপতারকা। তাঁর বিরুদ্ধে এখনো স্পেনে কর ফাঁকির একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।