নাসিম রুমি: কখনো নায়িকা হবো স্বপ্ন দেখিনি, কখনো বাংলা ছবিতে অভিনয় করবো কল্পনাও করিনি। কাউকে ছোট করছি না। কিংবা কাউকে অসম্মানও করছি না। কিন্তু এটাই ধ্রুব সত্য শাবনূর-রিয়াজ জুটির পর বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে আমিসহ আমার পরিবার কিংবা আমার যাদের সাথে বেড়ে ওঠা তাদের কাউকেই আর আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখিনি।
নিজের পড়ালেখা, ফ্যাশন ডিজাইনিং এর ক্যারিয়ার এতোকিছু সামলাতে গিয়ে আর মিডিয়ার খোঁজ-খবরও তেমনটা রাখা হতো না।
আমার মতে মিডিয়ার সবচাইতে স্মার্ট জায়গা হলো খেলার উপস্থাপনা। আপনি মাকাল ফলের মতন সুন্দর হলে আর যাই হোক খেলা নিয়ে কথা বলতে পারবেন না, আপনাকে হতে হবে চৌকস এবং সূক্ষ্ম জ্ঞানসম্পন্ন। তাই সবচাইতে পছন্দের জায়গা ক্রীড়া উপস্থাপিকা হিসেবে বেশ ফুরফুরে দিন কাটাচ্ছিলাম।
খেলা ভালোবাসি অনেক এজন্যই হয়তো, তবে সেই কাজটা খুব মন দিয়ে করতাম। তাই ইচ্ছা ছিলো নিজের স্বপ্নের ওই জায়গাতেই কাজ করার।
২০১৮ সাল থেকেই একের পর এক বেশ কয়েকটি ছবির অফার ফিরিয়েছিলাম, নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা ছিলো না বলে। তবে যখন শাকিব খানের নাম শুনলাম আমি সময় নিলাম।
বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ব্র্যান্ড, যার নামে পুরো একটা ইন্ডাস্ট্রি টিকে আছে। আর কোনো ইন্ডাস্ট্রি একজন মাত্র সুপারস্টার টিকিয়ে রেখেছেন কিনা আমার জানা নেই, একজন মানুষের পক্ষে একটা ইন্ডাস্ট্রি কখনো ধরে রাখাও সম্ভব নয় বলে আমার বিশ্বাস ছিলো। একটা ইন্ডাস্ট্রি সফল তখনই হয় যখন একাধিক সুপারস্টার নিজেদের মধ্যে কাজ নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। কিন্তু শাকিব খান একাই ধরে রেখেছেন এই ইন্ডাস্ট্রি। তার সাথে প্রতিযোগিতা অনেক পরের কথা, তার আগে-পিছেও কেউ আপাতত নেই।
সেই শাকিব খানের সাথে কাজের অফার ফিরিয়ে দেয়ার সাধ্য আমার কেন…. কারোরই নেই। ইদানিং দেখি শাকিব খানকে নিয়ে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করেন, আমি দেখি আর হাসি। এটাইতো শাকিব খানের পাওয়ার, যার নাম মুখে নিয়েই অনেকে সস্তা এ্যাটেনশান পাবার চেষ্টা করে। কারণ শাকিবই তো সবচাইতে বড় ব্র্যান্ড।