শক্তিমান অভিনেতা রাজ-এর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৮ বছর। প্রয়াত এই গুণী অভিনেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই । তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
রাজ (মনিরুজ্জান) ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে, পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বিমান বাহিনীতে প্রথম তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়।
মঞ্চনাটক থেকে চলচ্চিত্রে আসেন অভিনেতা রাজ। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি, ইবনে মিজান পরিচালিত ‘একালের রূপকথা’ মুক্তিপায় ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে। তাঁর অভিনীত অন্যান্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজা সন্যাসী, গুনাই বিবি, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, সাইফুলমুলক বদিউজ্জামাল, কুলি, সোয়ে নদীয়া জাগে পানি, মধুমালা, সমাপ্তি, পারুলের সংসার, ওরা ১১ জন, স্মৃতি তুমি বেদনা, রংবাজ, দস্যুবনহুর, সমাধি, দোস্ত দুশমন, দোস্তী, ওমর শরীফ, কুদরত, দিনের পর দিন, একই অঙ্গে এতরূপ, আসামী, বন্ধু, ঈমান,পরাণ পাখি, রসের বাইদানী, পদ্মাবতী, নরম গরম, রাজিয়া সুলতানা, বিদ্রোহী, শাহী কানুন, শাস্তি, রাই বিনোদী, সাথী, মর্জিনা, সন্ধি, ফুলন, সোহেল রানা, ধর্ম আমার মা, আক্রোশ, আমিই ওস্তাদ, জারকা, খামোশ, মালা বদল, চন্দ্রাবতী, বিচারপতি, ডাকু ও দরবেশ, চন্দনা ডাকু, কাল নাগিনী, পদ্ম গোখরা, নিয়তির খেলা, দুখিনীবধূ শয়তান যাদুকর, দায়ী কে, সতীকমলা, প্রভৃতি।
‘বিধিলিপি’ নামে একটি ছবিও প্রযোজনা করেছিলেন, অভিনেতা রাজ।
ভিলেন বা খলচরিত্রের একজন জাঁদরেল অভিনেতা ছিলেন রাজ। খল বা মন্দলোকের চরিত্রে অভিনয় করেও তিনি একসময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। দুর্দান্ত খল অভিনেতা হিসেবে একের পর এক অভিনয় করে গেছেন ব্যবসাসফল সব নামকরা সিনেমায়।
শুধু ভিলেন বা খলচরিত্রেই না, বিভিন্ন ছবিতে নানা ধরণের চরিত্রে অভিনয় করে, একজন শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে দক্ষতা দেখিয়েছেন সব ছবিতেই। একজন গুণী অভিনেতা হিসেবে দর্শকমহলে প্রসংশিত হয়েছেন, জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
যাদের অভিনয় দক্ষতায় সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা, অভিনেতা রাজ ছিলেন, তাদের অন্যতম একজন । বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অবদান রেখে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিও একজন। লক্ষ-কোটি ভক্ত-দর্শকদের হৃদয়ে রাজ-এর মতো অভিনেতা, অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন