English

32 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫
- Advertisement -

শক্তিমান অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজু আহমেদ-এর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

- Advertisements -

শক্তিমান অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজু আহমেদ-এর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭২ সালের ১১ ডিসেম্বর, আততায়ীর বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর।

আজ প্রয়াণদিবসে রাজু আহমেদ-এর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত প্রার্থনা করি।

রাজু আহমেদ-এর জন্ম কুষ্টিয়া শহরের, আমলাপাড়ার একটি সাংস্কৃতিক পরিবারে, ইংরেজী ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ বৈশাখ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। তাঁর পিতা মরহুম খন্দকার লুৎফল হক ছিলেন রাজশাহী বেতারের নিয়মিত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী এবং নাট্যশিল্পী।

ছোটবেলা থেকেই নাটক ও অভিনয়ের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল তাঁর। এক সময় তিনি মঞ্চনাটকে জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । আর্ট কলেজের ছাত্র রাজু আহমেদ, শিল্প-সংস্কৃতিকে বুকে ধারণ করে বড় হয়েছেন। অভিনয়ের প্রায় সব শাখায়- মঞ্চ, টেলিভিশন, বেতার এবং চলচ্চিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন।

রাজু আহমেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে- বাল্যবন্ধু, পদ্মা নদীর মাঝি, নীল আকাশের নীচে, মিশর কুমারী, ক খ গ ঘ ঙ, ঈশা খাঁ, অধিকার, সুখ-দুখ, কাঁচকাটা হীরে, স্মৃতিটুকু থাক, দুটি মন দুটি আশা, জীবন থেকে নেয়া, যে আগুনে পুড়ি, মিশর কুমারী, মধু মিলন, রং বদলায়, পিতা পুত্র, সাধারণ মেয়ে, দীপ নেভে নাই, ওরা ১১ জন, রংবাজ, মায়ার সংসার, আমার জন্মভূমি, কাঁচের স্বর্গ, বাঘা বাঙ্গালী, অশান্ত ঢেউ, দুই পর্ব, দস্যুরাণী, সতীনারী, ঝড়ের পাখি, চৌধুরী বাড়ী, প্রতিশোধ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ।

তখনকার সময়ে সংস্কৃতিঅঙ্গণের অতি পরিচিত মুখ রাজু আহমেদ, শুধু অভিনেতাই ছিলেন না, ছিলেন একজন চিত্রশিল্পীও। তিনি ছবি অাঁকতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে করাচিতে অনুষ্ঠিত চিত্রকলা প্রদর্শনীতে তাঁর অাঁকা একটি ছবি পুরস্কৃত হয়েছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজু আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঐতিহাসিক নাটক ‘জল্লাদের দরবার’-এ ‘জল্লাদ ইয়াহিয়া খান’-এর ভূমিকায় অভিনয় করে খ্যাতিমান অভিনেতা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।

স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী কন্ঠ, শব্দসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, তথা মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা রাজু আহমেদ।

শক্তিমান এই অভিনেতাকে আমরা এমন সময় হারিয়েছি, যখন সে অভিনেতা হিসেবে তাঁর দক্ষতার সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে শুরু করেছিলেন। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় যে, এই অনন্য অভিনয় প্রতিভার অধিকারী, আমাদের স্বাধীনতার সূর্য সন্তান রাজু আহমেদ, খুবই অল্প বয়সে স্বাধীন বাংলাদেশে অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার হন।

রাজু আহমেদ শারীরিকভাবে চলে গেছেন, কিন্তু রেখে গেছেন তাঁর সৃষ্টিশীল কর্ম। রেখে গেছেন শিল্প-সংস্কৃতির পথে তাঁর বলিষ্ঠ উজ্জ্বল পদচিহ্ন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে তাঁর অবদান, চিরদিনই স্মরণযোগ্য।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন