মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একাধিকবার খোলাখুলি কথা বলেছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। একসময়ে আত্মহত্যার কথাও মাথায় এসেছিল বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অগত্যা মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল তাকে। তবে মনোবিদের কাছে যাওয়ার সময়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এ বিষয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি কথা বলেন দীপিকা।
২০১৪ সালে সময়টা ভালোই যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। দ্রুতই কাজের জগতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ একদিন সকালে ভেঙে পড়েন। দীপিকা বলেন, ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে ছিলাম। সব ভালোই চলছিল। সেই সময়ে প্রায়ই ক্লান্ত লাগত দীপিকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাজ করে চলেছিলেন তিনি। এসব কিছুর মধ্যেই ক্রমশ বুঝতে পারেন, সমস্যাটা অন্য কোথাও।
একদিন সকালে শারীরিক অস্বস্তি শুরু হয় তার। অভিনেত্রী বলেন, বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর বুঝলাম, কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। পেটের মধ্যে এক অদ্ভুত অস্বস্তি হতো। অনবরত কাঁদতাম। ভেঙে পড়তাম। নিজেকেই যেন আর চিনতে পারছিলাম না।
এসব শুনে দীপিকার মুম্বাইয়ের বাড়িতে ছুটে আসেন তার বাবা-মা। অভিনেত্রীর মা মেয়েকে পরামর্শ দেন মনোবিদের কাছে যাওয়ার। সেই মতোই মনোবিদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। মনোবিদের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, আতঙ্ক ও অবসাদ তার ওপর জেঁকে বসেছে।
পরে এ বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন দীপিকা। কিন্তু সেই সময়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মনোবিদের কাছে যেতেন তিনি। কারণ রাস্তায় বেরোলেই ফটোসাংবাদিকরা পিছু নিতেন। কিন্তু দীপিকা চাইতেন না, তার গন্তব্য সম্পর্কে তারা জানুন। কিন্তু একটা সময় পরে তিনি নিজেই উপলব্ধি করেন, অন্য অসুস্থতার মতোই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কথা বলা উচিত। লুকিয়ে রাখার মতো বিষয় নয়। তার পর থেকেই প্রকাশ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন দীপিকা পাড়ুকোন।