নাসিম রুমি: বলিউডের পাওয়ার কপল কারিনা আর সাইফের জুটি বরাবরই প্রিয় ভক্তদের কাছে। শুধু তাই নয়, অনেক তারকাও একবাক্যে মেনে নেন সাইফ-কারিনা জুটির কোনো তুলনাই হয় না। অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে ডিভোর্সের পর বয়সে অনেকখানিই ছোট কারিনাকে বিয়ে করলে সাইফ, অনেকেই ভেবেছিলেন বুঝি বা এটিও ভেঙে যাবে কয়েক বছরেই।
তবে দুই সন্তান তৈমুর আর জেহকে নিয়ে তাদের সুখের সংসারে গত ১২ বছরে একবারও ফাটল ধরার কোনো খবর কখনো আসেনি। টাটা প্লে বিঞ্জের ‘নাউ বিঞ্জিং’-এ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সাইফ আর কারিনা। আর সেখানেই লাভ লাইফ প্রসঙ্গে কথা বলার সময় সাইফ জানান, তিনি আর কারিনা সম্পর্কে আছেন জানানোর পর যে পরামর্শ এসেছিল অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ের থেকে তা মাঝেমধ্যে এখনো তার কাজে আসে। ‘রানি সত্যিই দুর্দান্ত।
আমি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব আগের চেয়ে বেশি উপভোগ করি। আমার মনে আছে, আমরা শুট করছিলাম। তখনো ও সিঙ্গেল। ভালোবাসার মানুষ আসেনি ওর জীবনে। আমাদের প্রেমের খবর পেয়েই বলেছিল, চল আমরা নন-স্টপ, জলদি করে শুট করে নেই। কোনো ডে অফ নেয়ারও প্রয়োজন নেই।’, বলেন সাইফ। আসলে রানি শুনেছিলেন, সাইফ ও কারিনা একসঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন।
তাই চেয়েছিলেন যাতে সব কাজ জলদি মিটিয়ে নিতে পারেন নায়ক। খুশি জাহির করেছিলেন এই সম্পর্কে। সাইফ আরো বলেন, ‘রানি আমাকে বলেছিল, মনে রেখো বাড়িতে দুজন নায়ক। সে যা বোঝাতে চেয়েছিল আমি বুঝেছিলাম। এখনো আমি রানির সেই পরামর্শ মেনে চলি।
যখন একজন কাজ করে আমাদের মধ্যে অন্যজন সময় দেয় বাচ্চাদের। আমি এটা বুঝতে পেরেছি, এটি সত্যিই ভালো পরামর্শ ছিল, দুর্দান্ত পরামর্শ ছিল। আমার বুঝতে অসুবিধা হয়নি ও দুজনের মধ্যে সমতা রাখার কথা বলেছিল।’ সাইফ আর অমৃতার বিয়েটা ছিল হুট করে। এমনকি নিজের পরিবারকেও খবর দেননি সাইফ। বিয়ে করে ফোন করেছিলেন মা শর্মিলা ঠাকুরকে। বয়সও তখন বেশ অল্প।
২০০৪ সালে যখন দুজনে ডিভোর্স নেন তখন তাদের দুই সন্তান সারা ও ইব্রাহিম বেশ ছোট। এরপর বিদেশিনী রোজা ক্যাটালানোর সঙ্গে বছর দুয়েক ডেট করেন। ২০০৮ সালে টশন সিনেমার সেটে কারিনার প্রেমে পড়েন। আর শুরু করেন ডেটিং। বিয়েটা হয় ২০১২ সালে।