দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপাতি বিজয়। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠেও দেখা যায় তাকে। তাই এখন সিনেমা নয়, রাজনীতিতেই পুরো মনোনিবেশ তার।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, খুব শিগগির রুপালি জগতকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে পুরোপুরি মন দেবেন এই তারকা। তার অভিনীত শেষ সিনেমা হতে যাচ্ছে ‘জন নায়ক’। এইচ বিনোদন পরিচালিত এই সিনেমায় যুক্ত হলেন শ্রুতি হাসান।
ইন্ডিয়ান গ্লিটজের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শ্রুতি হাসান সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। আগামী সপ্তাহে তার অংশের শুটিং শুরুর কথা রয়েছে।
সর্বশেষ ‘পুলি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন বিজয়-শ্রুতি। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে না পারলেও প্রশংসা কুড়ান এই জুটি। প্রায় ১০ বছর পর ফের একসঙ্গে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই তারকা যুগল।
বিজয়-শ্রুতি ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন— ববি দেওল, প্রকাশ রাজ, পূজা হেগড়ে, প্রিয়ামণি, মমিতা বাইজু প্রমুখ। কেভিএন প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। বর্তমানে চেন্নাইয়ে ‘জন নায়ক’ সিনেমার শুটিং চলছে।
থালাপাতি বিজয়ের বাবার নাম এসএ চন্দ্রশেখর। তিনি ছিলেন তামিল সিনেমার পরিচালক। মা শোভা চন্দ্রশেখর ছিলেন গায়িকা। শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রেখে তামিল সিনেমার শীর্ষ নায়কদের একজনে পরিণত হয়েছেন থালাপাতি বিজয়। সর্বশেষ ‘থালাপাতি ৬৯’ বা ‘জন নায়ক’ সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন এই নায়ক। প্রায় এক বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেন। ২০২৬ সালের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজয়।
রুপালি পর্দায় অভিষেকের আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে ‘নালায়া থেরপু’ সিনেমার প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পুভে উনাকাগা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। তবে ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অভিনেতার ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যুক্ত করে।
পরের বছর ‘ঘিল্লি’ সিনেমায় একজন কাবাডি খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের মন কাড়েন বিজয়। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথম তামিল অভিনেতা হিসেবে বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপি আয় করেন। পরবর্তী সময়ে ‘থিরুপাচি’, ‘সাচেন’, ‘শিবাকাসি’, ‘পক্কিরি’, ‘কাবালান’, ‘নানবান’, ‘থুপ্পাক্কি’, ‘কাত্থি’, ‘মার্সাল’, ‘সরকার’, ‘মাস্টার’ প্রভৃতি সিনেমা তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।