রাখি সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। মানসিক হেনস্তা ও সম্মানহানির জন্য মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। থানা থেকে বের হওয়ার পর ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তনুশ্রী।
শুধু তাই নয়, রাখির জন্য তিনি বিয়ে করতে পারেননি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তনুশ্রী। আর এসব কারণে রাখির বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি।
গণমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেন, রাখি সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় এসেছি। ২০১৮ সালে ‘মি টু’ মুভমেন্টের সময় রাখি যেভাবে আমাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করেছিলেন মূলত সে কারণেই এই মামলা করেছি। নানা কারণের জন্য একাধিক পেনাল কোডে মামলাটি দায়ের করেছি।
খুব শিগগিরই রাখির বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ নেবেন জানিয়ে তনুশ্রী বলেন, রাখি সাওয়ান্ত আমার বিরুদ্ধে যেসব মন্তব্য করেছেন, তার প্রত্যেকটার রেকর্ড বানিয়েছি। তাকে আমি কখনোই ছাড়ব না। আইনগত প্রক্রিয়া শুরু, পুলিশ খুব শিগগিরই তাদের কাজ শুরু করবেন।
অভিনেত্রী আরও বলেন, রাখির কারণে দীর্ঘদিন আমি অনেক মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। সে যে ধরনের কথা বলেছে তা আমি নিতে পারিনি। লাইমলাইটে থাকার জন্য রাখি প্রতি বছর কোনো না কোনো নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হন। রাখি আমার সব সম্মান ডুবিয়ে দিয়েছে। এমনকি এখন পর্যন্ত বিয়েও করতে পারিনি।
এ প্রসঙ্গে তনুশ্রী বলেন, রাখি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ করে কথা বলেছে। রাখির জন্য আমি বিয়ে করতে পারিনি। দীর্ঘদিন আমাকে নানা বিরক্ত করেছেন তিনি।
রাখির সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাতের কথা উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ সিনেমায় প্রথমে রাখির অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু নির্মাতা রাখিকে সরিয়ে আমাকে কাস্ট করেন। এরপর নানা পাটেকরের জন্য আমাকে সরিয়ে আবার রাখিকে সিনেমাটিতে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এটা পুরোপুরি একটা প্ল্যান ছিল, যাতে ওরা আমার নাম ব্যবহার করে পাবলিসিটি পায়। আমার সমস্ত চেক বাউন্স করিয়েছিল। পুরোটাই একটা প্ল্যান ছিল এবং রাখি এর ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরিভাবে জড়িত ছিল।
এ সময় সাংবাদিকরা তনুশ্রীর কাছে জানতে চান, ২০১৮ সালের ঘটনার জন্য এখন কেন মামলা করলেন? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে মামলা করেছি। ২০১৮ সালে রাখি নোংরা এবং সস্তা ভিডিও বানিয়ে আমাকে অসুস্থ করে দিয়েছিলেন। আমি আবার ফিরে এসেছি, এখন পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। তাই এখন আবার মামলা করেছি।