বলিউডে তার আত্মপ্রকাশ হয় পরিণীতা হয়ে। একঢাল চুল। কপালে টিপ। শাড়িতে তখন বিদ্যা বালান যেন পাশের বাড়ির মেয়েটি। কয়েক বছরের মধ্যেই ভোলবদল। ‘পরিণীতা’ হলেন ‘সিল্ক স্মিতা’। খোলামেলা পোশাক। খোলামেলা শরীর আর উন্মুক্ত বক্ষভাঁজে তীব্র যৌনতার আবেশ ছড়িয়ে বড় পর্দায় ঝড় তুললেন বিদ্যা। তার অভিনয় ‘১০০ কোটি ক্লাব’-এ পৌঁছে দেয় ‘দ্য ডার্টি পিকচার’কে। কিন্তু এই ছবি করতে গিয়ে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। যদিও সিগারটের ধোঁয়ার গন্ধ বরাবরই উপভোগ করতেন বিদ্যা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা জানান, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবিতে ঘন ঘন ধূমপানের দৃশ্যে অভিনয় করতে হতো। তাতেই সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। দিনে তিনটি করে সিগারেট লাগত অভিনেত্রীর। তবে সেই আসক্তি নাকি উপভোগই করতেন অভিনেত্রী।
বিদ্যা বলেন, “আমার ছোটবেলা থেকেই সিগারেটের গন্ধটা ভাল লাগত। কলেজ যাওয়ার সময় বাসের জন্য যখন দাঁড়িয়ে থাকতাম, আশেপাশে যারা ধূমপান করতেন, তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম আমি।”
সেসব অবশ্য পুরনো গল্প। ধূমপানকে অবশ্য এখন জীবন থেকে বিদায় দিয়েছেন তিনি। তা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের কারণে।
শোনা যায, এই ছবিটি করার আগে অনেকেই সাবধান করেছিলেন অভিনেত্রীকে। তার অন্যতম কারণ, বিদ্যার তখনকার ঘরোয়া ‘অন স্ক্রিন ইমেজ’, যা অনেকটাই ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বাস্তবে হয়েও ছিল তাই। তবু ছবিটি না করার উপদেশ তিনি মানেননি। কারও কথা না শুনেই ‘দ্য ডার্টি পিকচার’-এ সই করেছিলেন। মনে আছে নিশ্চয়ই, এ ছবিতে ‘সিল্ক স্মিতা’র চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন বিদ্যা।