ভারতীয় বাংলা সিনেমার একঝাঁক তারকা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ৪৪তম নর্থ আমেরিকা বেঙ্গলি কনফারেন্সে (এনএবিসি) যোগ দিতেই তাদের এই সফর। কিন্তু শিকাগোর যে পাঁচতারকা হোটেলে উঠেছেন তারা; সেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুসারে, শিকাগোর একটি পাঁচতারকা হোটেলে উঠেছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, স্বস্তিকা মুখার্জি, মমতা শঙ্কর, সোহিনী সরকার, তনুশ্রী, পরিচালক অরিন্দম শীলসহ অনেকে। বাংলাদেশের কিছু তারকাও সেখানে রয়েছেন। তারা হোটেলটির ৫-৬ তলায় উঠেছেন। গতকাল ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ করেই ফায়ার অ্যালার্ম বাজতে থাকে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই। তবে ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে পরিচালক অরিন্দম শীল বলেন, ‘ভালো করে চোখ মেলতে পারিনি। হঠাৎ অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে বসি। খাটে রাজ্যের জিনিসপত্র ছড়ানো। কিন্তু গোছাবে কে? আগে জিনিস না আগে প্রাণ?’
পরিস্থিতি এমন ছিল যে, গরম পোশাক গায়ে জড়ানোর সময়টুকুও পাননি তারা। ওই অবস্থাতেই পাঁচতলা থেকে এক তলায় নেমে আসেন অরিন্দম শীল। তবে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। এ বিষয়ে অরিন্দম শীল জানান, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল মমতা শঙ্করের। তিনি না পারছিলেন সিঁড়ি ভাঙতে, না পারছিলেন কোথাও দাঁড়াতে। ব্যথা নিয়ে কোনোমতে এক পা এক পা করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামেন।
শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি থেকে চঞ্চল চৌধুরী— প্রাণ বাঁচানোর দৌড়ে শামিল ছিলেন সবাই। তবে বাংলাদেশি তারকাদের মধ্যে আর কে কে ছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি এ প্রতিবেদনে।
সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রের ওই হোটেলে ছিলেন পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি। তিনি সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘আমরা সবাই হইহই করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামলাম। প্রত্যেকে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সকলের একটাই চিন্তা, যে করেই হোক প্রাণে বাঁচতে হবে।’