নাসিম রুমি: সিনেমার বড় একটি অংশের শুটিং হয়েছে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। ছবিটির পরিচালক সাইদুল ইসলাম রানার বাড়িও এই রাজবাড়ীতে। সে সময় এলাকার মানুষরা জানতে চাইতেন কবে ছবিটি মুক্তি পাবে। মুক্তির পেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে সিনেমাটি দেখতে আসবেন কিনা এ প্রশ্নও করেন অনেকেই। তাই পরিচালক ও নায়ক বলেও আসেন তাদের ছবিটি উপভোগ করবেন তারাও। সেই বীরত্ব গত ১৭
সেপ্টম্বর মুক্তি পায় সারা দেশে।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই তাই রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের মানুষের সঙ্গে ছবিটি দেখার জন্য ছুটে গেলেন নায়ক ইমন। গেলেন ছবির পরিচালক সাইদুল ইসলাম রানা অন্য অভিনেতা নিপুণ আক্তারসহ ‘বীরত্ব’ টিম।বুধবার দুপুরে যখন রাজবাড়ীর সাধনা সিনেমা হলে হাজির হন নির্মাতা সাইদুল ইসলাম রানা, চিত্রনায়ক ইমন, নিপুণ আক্তার, জেসমিনসহ গোটা ইউনিট। এ খবর পেয়ে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে ছুটে আসেন দর্শকরা। ফলে কানায় কানায় ভরে উঠে সিনেমাহল প্রাঙ্গণ।
রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী হল সাধনা। যে হলে আধুনিক কোনো সুবিধাই নেই। বেশ পুরোনো চেয়ার। নেই এসি। ফ্যানের বাতাসও তেমন নয়। এমন পরিবেশেও সবাই বেশ মজা করেই বীরত্ব দেখেছেন বলে জানালেন নায়ক ইমন।
সিনেমা শেষে দর্শকদের ভিড়ে আটকা পড়েন ইমনরা। পরে পুলিশি পাহারায় হল থেকে বের হয়ে আসেন তারা।
নায়ক ইমন বলেন, পুরো ছবিটাই রাজবাড়ীতে করা হয়েছে। পরিচালক রানা ভাই ছবির মাধ্যমে তার নিজের জেলাকে তুলে ধরেছেন। দৌলতদিয়া যৌনপল্লির সবার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আমি ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। অনেক ভালোবাসা দিয়ে ছবিটি করা। আশা করছি দর্শকদেরও ভালো লাগবে। আমরা আজ রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের দর্শকদের সঙ্গে ছবিটি দেখলাম। দর্শকও হাউজফুল ছিলো।