তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। আজ রোববার (১২ জুন) রাত ১০টার দিকে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি মৌসুমী আপাকে হয়রানি ও বিরক্ত করেছি এটা তো আপাকে বলতে হবে, ওমর সানি ভাই বলতে তো হবে না।
উনি ছাড়া আর কেউ অভিযোগ করলে তো হবে না। আপা যদি একই অভিযোগ করে, আমি যেকোন সাজা মাথা পেতে নেব। আপনারা আপার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর বক্তব্য নেন…, আমি কীভাবে উনাকে বিরক্ত করেছি। আপাকে শুধুই সম্মান করা যায়, উনি আমাদের দেশের গর্ব। আমি শিল্পী মানুষ উনাকে কেন বিরক্ত করব।’
সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে এই চিত্রনায়কের ভাষ্য, ‘এসব পুরোপুরি মিথ্য। সানি ভাই কেন এসব করছেন আমি বুঝছি না। আপনারা মৌসুমী আপার কাছে জানতে চান আমি উনার অসম্মান হয় এমন কোন কাজ করেছি কিনা।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে করা অভিযোগে ওমর সানি দাবি করেছেন, এসব অভিযোগের প্রমাণ আমার এবং আমার ছেলের কাছে আছে। তাছাড়া মুরুব্বি হিসেবে আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সাথে দেখা হলে, এ বিষয়ে সংযত হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করি। এতে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং হঠাৎ পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পিস্তল ইস্যুতে জায়েদ খানের বক্তব্য, আমার কাছে ওইদিন কোন পিস্তল ছিল না। পারলে উনি প্রমাণ দিয়ে দেখাক।
এর আগে অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানিকে পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত থাকা কয়েক জনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের খবর, কয়েক দিন আগে মৌসুমীর সঙ্গে জায়েদ খান খারাপ আচরণ করেছেন। সে কারণে অনুষ্ঠানে ঢুকেই ওমর সানি সরাসরি জায়েদ খানকে চড় মারেন। তারপর জায়েদ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।