নাসিম রুমি: গত সেপ্টেম্বরে বলিউড দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের ঘর আলো করে আসে তাদের প্রথম কন্যাসন্তান। জন্মের দুই মাস পর গেল দীপাবলির মধ্যে সন্তানের নাম ও ছবি প্রকাশ করেন দীপিকা ও তার স্বামী অভিনেতা রণবীর সিং। জানান, যেহেতু তাদের মেয়ে তাদের প্রার্থনার ফসল, তাই তার নাম রাখা হয়েছে ‘দুয়া’। আর এতেই চরম কটাক্ষের মুখে পড়েন এই তারকা দম্পতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের মেয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন দীপিকা। সেখানে খুদের মুখ দেখা যাচ্ছে না, শুধু পা। পরনে গোলাপি রঙের চুড়িদার। এই ছবি পোস্ট করে দীপিকা জানান, তারা মেয়ের নাম রেখেছেন ‘দুয়া’।
এই ঘোষণা করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘দুয়া পাড়ুকোন সিং। দুয়ার অর্থ হল প্রার্থনা। আর ও আমাদের সমস্ত প্রার্থনার উত্তীর্ণ আমাদের মন কানায় কানায় ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠেছে- দীপিকা, রণবীর।’
দুয়া মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ প্রার্থনা। ইসলামে দুয়া বলতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাকে বুঝায়।
দীপিকা-রণবীর মেয়ের আরব নাম রাখতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। তাদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘কেন প্রার্থনা নয়, কেন দুয়া? হিন্দি কেন নয়, কেন উর্দু???’
অপর এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আপনি একজন সনাতনী। তবে শুধু নামে?’
এভাবেই একের পর এক মন্তব্যে দীপিকা-রণবীর দম্পতিকে আক্রমণ করেছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।
সমালোচনা নিয়ে দীপিকা-রণবীর এখন মুখ না খুললেও অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের পাল্টা জবাবও দিয়েছেন। ইপ্স নামের এক এক্স ব্যবহারকারী এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট রিপোস্ট করে লিখেছেন, ‘ধর্মীয় উগ্রতা আসলে একটা রোগ।’
তরুণ গৌতম নামের অপর এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দীপিকা-রণবীর তাদের মেয়ের নাম প্রার্থনা না রেখে দুয়া রাখায় ক্ষুব্ধ উত্তর প্রদেশের অর্জুন ভিডিওগ্রাফার। অথচ সে প্রার্থনা শব্দের বানানটিও ঠিক মতো জানে না।’