English

23 C
Dhaka
বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

মেধাবী ও কুশলী নির্মাতা মুস্তাফা মেহমুদ-এর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

- Advertisements -

এ কে আজাদ: মুস্তাফা মেহমুদ। চলচ্চিত্রকার। আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রে সামাজিক ছবির সফল ও সুনির্মাতা হিসেবে যাঁরা খ্যাতি পেয়েছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। চলচ্চিত্রে আসার আগে সম্পাদনা করেছেন- চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘মৃদঙ্গ’। পরে, প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের সহকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট হন চলচ্চিত্রে।

বাণিজ্যসফল সামাজিক চলচ্চিত্রের সফল নির্মাতা হিসেবে পেয়েছিলেন সুপরিচিতি ও সুখ্যাতি। সামাজিক কাহিনীর সুন্দর সুন্দর সব চলচ্চিত্র নির্মাণ করে, একজন মেধাবী সৃজনশীল চিত্রপরিচালক হিসেবে হয়েছেন জনপ্রিয়-নন্দিত চলচ্চিত্রকার। তাঁর নির্মিত প্রায় সকল ছবিই হয়েছে জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত।

এই অসাধারণ মেধাবী ও কুশলী নির্মাতা মুস্তাফা মেহমুদ-এর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল , চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। প্রয়াত এই গুণী চিত্রপরিচালকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

মুস্তাফা মেহমুদ ১৯৩৬ সালের ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । স্কুল-কলেজ শেষ করেন চট্টগ্রামেই।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে থেকেই জড়িত হন সাংবাদিকতার সাথে। সম্পাদনা করেন চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘মৃদঙ্গ’। এক সময় ভালো ফুটবল খেলতেন তিনি।

এক সময় পরিচয় হয় প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের সাথে। আর জহির রায়হান এর হাত ধরেই পরবর্তিতে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন মুস্তাফা মেহমুদ।

এই পরিচালকের প্রথম পরিচালনা ‘দুইভাই’ (যৌথভাবে – ১৯৬৮), এরপর ‘সংসার’ (যৌথভাবে – ১৯৬৮), তাঁর একক পরিচালিত ছবি- ‘মোমের আলো’ (১৯৬৮), ‘মায়ার সংসার’ (১৯৬৯), ‘আদর্শ ছাপাখানা’ (১৯৭০), ‘নতুন প্রভাত’ (১৯৭০), ‘মানুষের মন’ (১৯৭২), ‘জীবন সংগীত’ (১৯৭২), ‘অবাক পৃথিবী’ (১৯৭৪), ‘জয় পরাজয়’ (১৯৭৬), ‘মণিহার’ (১৯৭৬), ‘মনের মানুষ’ (১৯৭৭), ‘মধুমিতা’ (১৯৭৮), ‘মাটির মানুষ’ (১৯৭৯) অন্যতম।

জনপ্রিয় সামাজিক ছবি’র বাণিজ্যসফল নির্মাতা হিসেবে মুস্তাফা মেহমুদ এক সময় বেশ আলোচিত ছিলেন। তাঁর নির্মিত প্রায় সব চলচ্চিত্রই দর্শকপ্রিয়, ব্যবসা সফল ও আলোচিত হয়েছে। নির্মাণ কৌশলে তিনি একজন ভালো মানের চিত্রপরিচালক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছেন অনায়াসে। একজন প্রতিভাবান মেধাবী মানুষ হিসেবে অনেক ভালো ভালো চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের সমৃদ্ধিতে রেখেছেন অনন্য অবদান।

কী এক অজানা কারণে এক সময় তিনি চলচ্চিত্র থেকে দূরে সড়ে যান। চট্টগ্রামে নিজ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শুরু করেন কৃষি কাজ। কী এক অভিমানে চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়ে- খামার, কৃষি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন আজীবন। চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো কথা বলতেও ছিলেন অনাগ্রহী, এমনকি কাউকে সাক্ষাৎ দিতেও চাইতেন না।

মুস্তাফা মেহমুদ আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পের একজন গুণী কির্তিমান মানুষ। তিনি তাঁর কর্মগুণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

ক্যাম্পে ফিরেছেন সাবিনারা

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন