রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবেরের। মাত্র ২৫ বছরে বয়সেই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের বারাণসীর কাছে সারনাথের একটি হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অভিনেত্রীর মরদেহ। ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, এটি আত্মহত্যা। কিন্তু আকাঙ্ক্ষার পরিবারের দাবি, এটি খুন।
এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর আগে এক ব্যক্তি তার রুমে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে অভিনেত্রীর মৃত্যুরহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘হোটেল রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আকাঙ্ক্ষার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যার কারণে পুলিশ ধারণা করছে, এটি আত্মহত্যা। তবে হোটেল রুম থেকে কোনো সুইসাইড নোট পায়নি পুলিশ। এবার জানা গেল, এক ব্যক্তি আকাঙ্ক্ষাকে তার হোটেল রুমে রেখে যান। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি এই অভিনেত্রীর রুমে ১৭ মিনিট অবস্থান করেন। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তা এড়িয়ে গেছে পুলিশ।’
অকাঙ্ক্ষার মা মধু দুবে বলেন, ‘আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দুজন ব্যক্তি দায়ী। অভিনেতা সমর সিং এবং সঞ্জয় সিং আমার মেয়েকে খুন করেছে। এর আগে সমরের ভাই সঞ্জয় সিং আকাঙ্ক্ষাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আর এ কথা আকাঙ্ক্ষা আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছিল।’
অভিনেতা সমর সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন আকাঙ্ক্ষা। কিছুদিন আগে এ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন এই অভিনেত্রী। আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর পর সমর সিং ও সঞ্জয় সিংকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
এ বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংবাদমাধ্যমটি। কিন্তু এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তারা।
ভারতের মির্জাপুরে ১৯৯৭ সালে জন্ম নেন আকাঙ্ক্ষা। সিনেমায় অভিনয় করার পাশাপাশি টিকটকেও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগের রাতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। ভোজপুরী গানে নিজের একটি নাচের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘মেরি জং মেরা ফয়সলা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন আকাঙ্ক্ষা অভিনেত্রীর। এরপর ‘মুঝসে শাদি করোগি’, ‘বীরো কে বীর’, ‘ফাইটার কিং’, ‘কসম পয়দা করনে কি টু’এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।