দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে প্রবাসী ও মৃতদের ভোটও পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়া তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
আজ মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় নিজ বাসভবনে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আওয়অমী লীগের প্রার্থী মমতাজ। ভোটে কালো টাকা ছিটিয়ে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু জিতেছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
নিজের হারের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট জালিয়াতিকে দায়ী করে নৌকা প্রতীকের মমতাজ বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বলছি, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) কালো টাকা দিয়ে দুটা-তিনটা ইউনিয়নে একেবারে বিএনপির ভোট, কেনে…। আমার কাছে যতটুকু (তথ্য আছে) এখন পর্যন্ত যে, অনেকে বিদেশে আছে, মারা গেছে—তাদের ভোটটাও তারা নিজেরা মাইরা এই অস্বাভাবিক ভোট দুইটা-তিনটা জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছে। এর জন্য আমরা প্রত্যেকটা জায়গায় পাস করার পরও এই অস্বাভাবিক ভোটের কাছে পরাজিত হতে হইছে।’
জাল ভোটের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বলেন, ‘আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, ইতিমধ্যে সেটা নেওয়ার আমরা পরামর্শ করছি।’
কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না অভিযোগ করে মমতাজ বলেন, ‘আমাদের প্রায় ফিফটি প্লাস (৫০ জনের বেশি) আহত হয়ে আছে। এগুলোর ব্যাপারে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোথাও কোনো রকমের অ্যাকশন এখনো নেওয়া হয়নি।’
প্রসঙ্গত, সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসনে মোট কেন্দ্র ১৯৩টি। সবগুলো কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, বিজয়ী টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। টুলুর চেয়ে ৬ হাজার ২৫৬ ভোট কম পেয়েছেন তিনি।