মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, আর বিশ্বরাজনীতির নানা বিষয় উঠে আসবে এই প্রযোজনায়। মোট আটটি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রযোজনাটি—রং, রক্ত এবং একটি চিৎকার; চেয়ার : ক্ষমতার স্বাদ ও বিস্বাদ; লাল মিছিল; তিনটি দৃশ্য ও একটি প্রশ্ন; সুবোধ পালাবে না আর; কাঁটাতারের নির্ঘুম কবিতা; আমি শুধু তিনটি খুন করেছিলাম; বিপ্লবী অথবা চিত্রশিল্পী কিংবা কিছুই না!
প্রযোজনাটির গল্প ও নির্দেশনার কাজ মীর লোকমান নিজেই করেছেন। লাইট, সেট ও প্রপসে রয়েছেন তানভীর নাহিদ খান, ফজলে রাব্বি সূকর্ণ, মাহাবুব আলম ও শাহরিয়ার শাওন।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন ডেইলি নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী।
উল্লেখ্য, এক যুগ ধরে বাংলাদেশের প্রায় সব আন্দোলন-সংগ্রামে মীর লোকমান সক্রিয় মুখ। অন্যায়-অবিচার কিংবা বৈষম্যের বিপরীতে মূকাভিনয়কে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন এবং নিজেও পরিচিতি পেয়েছেন রাজপথের শিল্পী হিসেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পরবর্তীতে দক্ষিণ কোরিয়ার আজু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে তিনি বৈচিত্র্যময় জ্ঞান ও পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত।
আর্মেনিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন মঞ্চ ও স্ট্রিটে ৮০০-এর মতো প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি। বহু আন্তর্জাতিক শিল্প উৎসব ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তাকে সমৃদ্ধ করেছে।
মীর লোকমান আবহমান বাংলার প্রচলিত শিল্প ধারার সঙ্গে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মূকাভিনয় ও শিল্পের নানা ঢংয়ের সংমিশ্রণে নতুন রীতি নির্মাণে বিশ্বাসী। প্রযোজনার প্রয়োজনে বহুমাত্রিক সেট, প্রপস ও মেকআপের সংযোজনে তার উপস্থাপনা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবহার তার সৃষ্টিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলে সহজে।