English

25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

মদ্যপান নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী

- Advertisements -

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন ভারতের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শোবিজ তারকারাও এই প্রতিবাদ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন মিছিলে। এসবের মাঝেই মেয়েদের মদ্যপানে বিরোধিতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী।

এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন টালিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। শুধু তাই নয়, এ প্রসঙ্গে নিজের মতামতও তুলে ধরেন তিনি।

পাঠকদের জন্য মমতার ভাবনা তুলে ধরা হলো—

চারপাশে যা ঘটে চলেছে, তাতে বড্ড বিরক্ত লাগছে। চারদিকে এমন সব কথা উড়ে বেড়াচ্ছে, মাঝেমধ্যে হাসিও পাচ্ছে। আবার রাগও হচ্ছে। শুনলাম, রাজ্যের মন্ত্রী মেয়েদের মদ্যপানের বিরোধিতা করেছেন। রাতে যেন কোনোভাবেই মহিলাদের মদ পরিবেশন না করা হয়, সে বিষয়েও নিদান দিয়েছেন। তার দাবি, রাতদখল কর্মসূচিতে গিয়ে মেয়েরা রাস্তায় মদ্যপান করছেন। নিজের বিধানসভা এলাকায় রাতে মেয়েদের মদ পরিবেশনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু এভাবে কি মেয়েদের মদ্যপান আটকানো যাবে, এটা আমার প্রশ্ন।

কারণ যখন আমরা নিষেধাজ্ঞা জারি করি, তখনই সেই কাজ লুকিয়ে করার প্রবণতা বাড়ে। আজকে যে সমস্ত মেয়ে দোকানে গিয়ে মদ কিনছেন, তারা কি নিষেধাজ্ঞা জারি হলে মদ্যপান বন্ধ করবেন! বরং এমন কিছু হলে তারা লুকিয়ে মদ্যপান করবেন। নিজে না কিনতে পারলে অন্যকে দিয়ে কিনিয়ে আনবেন। বিষয়টা খানিকটা ‘বজ্র আঁটুনি ফোস্কা গেরো’র মতো।

তবে এটুকুই নয়, আমার মনে আরও একটা প্রশ্ন আছে। মদ্যপান বন্ধ করলেই কি নারীসুরক্ষায় দারুণ কোনো উন্নতি ঘটানো সম্ভব? সেটা আমার মনে হয় না। তবে আজকাল এসব দেখি আর ভাবি, এ সমস্ত ফতোয়া এক সময় জারি করা হয়েছিল ইসলামিক দেশগুলিতে। সেখানেও কি মদ্যপান বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে! তা হলে আমাদের মতো দেশেই বা কী করে সম্ভব?

অর্থাৎ মেয়েদের কী করা উচিত বা করা উচিত নয়, বিষয়টা সেভাবে বিচার না করে, আমার মনে হয়, যেকোনো সভ্য দেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের করণীয় কী সেটা ভেবে দেখা উচিত। মেয়েরা মদ্যপান করবে না, এটা যেমন আমি মানি না, তেমনই এটাও মনে করি, স্বাধীনতার অর্থই মদ্যপান নয়। আর সেটা শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। তা ছাড়া, প্রকাশ্য রাস্তায় মদ্যপান করাটাও শোভন নয়। রাস্তায় মদ্যপান তাই আমার কাছে অত্যন্ত কুরুচিকর এবং অন্যায়।

শালীনতার সংজ্ঞা যেমন নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এক, স্বাধীনতারও। অন্তত এমনই মনে করি আমি। কোনো মহিলা ব্যক্তিগত পরিসরে কী করছেন, তার ওপর নজরদারি করা আমাদের কারো কাজ নয়। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমার স্বাধীনতা যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়ে ওঠে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন