ফ্যাশন শোর কথা আসেলই- শুরুতেই আসে চাকচিক্যময় এক আয়োজন। ফ্যাশন শো-কে অনেকেই ব্যবহার করেন শিল্প হিসেবে। আবার এমনও অনেক ফ্যাশন শো আছে-যার আয়োজন দেখলে চোখ কপালে ওঠে। অদ্ভুত অদ্ভুত সাজপোশাকে সজ্জিত হয়ে সবাইকে অবাক করাই যেন- এই ফ্যাশন শোগুলোর মূল উদ্দেশ্য।
সম্প্রতি তারই এক নজির দেখালেন চেন্নাইয়ের এক মডেল পোশাকে জীবন্ত মাছ পরিধান করে। মৎস্যকন্যার মতো পোশাক পরেছেন মডেল আর তার পেটের সামনে গোলাকার পাত্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে জীবন্ত মাছ।
মেক ওভার বাই প্রীতি নামে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করা হলে সেটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে একজন মডেলকে মৎস্যকন্যা স্টাইলের পোশাক পরতে দেখা যায় যার সাথে একটি প্লাস্টিকের পাত্র সংযুক্ত করা হয়েছে। এরপর একজন ব্যক্তি প্লাস্টিকের পাত্রে কতগুলো ছোট মাছ ও পানি ঢেলে দেয়। অন্য একটি ভিডিওতে, তাকে পাত্রের ভেতরে থাকা মাছ নিয়ে র্যাম্পে হাঁটতে দেখা যায়।
ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার পর থেকে আট মিলিয়নেরও বেশি ভিউ এবং চার লাখ লাইক পড়েছে। ভিডিও তে মারমেইড ক্যাপশনটি পড়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘সবকিছুতে প্রাণীর ব্যবহার বন্ধ করুন।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাদের সমস্যা কি, অন্য জীবিত প্রাণীদের বিরক্ত করা বন্ধ করুন।’
এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, এত ছোট জায়গায় এতগুলো মাছ রাখলে তাদের অক্সিজেনের সমস্যা হবে।
নেতিবাচক মন্তব্যের ভিড়ে ব্যতিক্রমী উপস্থাপনের কারণে মডেলের মেধার প্রশংসাও করেছেন কেউ কেউ। এর মধ্যে একজন লেখেন, সবাই তার পোশাক নিয়ে সমালোচনা করছেন অথচ তিনি যে কতটা প্রতিভাবান তার প্রশংসা কেউ করছেন না, পোশাকটি সত্যিই খুব সুন্দর। তবে এখানে মাছকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি একেবারেই কাম্য নয়। পশু পাখির প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণ মেনে যাওয়া না। আর ঠিক এ কারণেই অনেক মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শুধুমাত্র ফ্যাশনেবল দেখানোর জন্য নিরীহ প্রাণীদের ব্যবহার করেছেন বলে অনেকে তাকে পাগলও বলেছেন।
অন্তঃসত্ত্বা মৎস্যকন্যার এই পোশাকের ভাবনা বেশ মনে ধরেছে পোশাকে ভাইরাল হওয়া ভারতীয় আরেক ইনফ্লুয়েন্সার উরফি জাভেদের। তিনি মুগ্ধ হয়ে ভিডিওর নিচে লিখেছেন, ‘খুব ভালো।’
ফ্যাশন শোতে প্রাণীর ব্যবহার এই প্রথম নয়। সম্প্রতি, প্যারিস ফ্যাশন উইক ২০২৩ এ একজন মডেলকে স্বচ্ছ স্কার্ট পরে হাঁটতে দেখা গেছে যা অনেকটা টেরারিয়ামের মতো দেখতে। আন্ডারকভারের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর জুন তাকাহাশি বাগানের তাজা ফুল এবং জীবন্ত প্রজাপতি দিয়ে পোশাকটির ডিজাইন করেছিলেন।