এক দিন আগেই প্রখ্যাত জীবনমুখী গানের শিল্পী কবির সুমন লিখেছিলেন, ‘গত চার দশকে আলাউদ্দীন আলীর মতো সুরকার আসেনি।’ সেই আলাউদ্দীন আলী আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রেখে গেলেন অসাধারণ সব সৃষ্টিকর্ম। প্রায় চার দশক ধরে লোকজ ও ধ্রুপদি গানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা আলাউদ্দীন আলীর সুরের নিজস্ব ধরন বাংলা সংগীতে এক আলাদা ঢং হয়ে উঠেছে। এই প্রখ্যাত সুরকারের বিখ্যাত গানগুলো তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বহু স্বনামধন্য শিল্পী আলাউদ্দীন আলীর সুরে গান করেছেন। তাঁর সুর করা গানের মধ্যে ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’ ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে।
আলাউদ্দীন আলী ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৯), ‘সুন্দরী’ (১৯৮০), ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তাঁর সহধর্মিণী নজরুলসংগীতশিল্পী সালমা সুলতানা ২০১৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির মেয়ে আলিফ আলাউদ্দিনও একজন সংগীতশিল্পী।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন