প্রত্যেকটি মানুষেরই সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দেশের অনেক তারকা সমাজ সচেতনমূলক কাজে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। অবহেলিত মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করেন, দেখান আলোর পথ। সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন এমন কয়েকজন তারকার মাঝে উল্লেখ্যযোগ্য একজন তারকা রয়েছেন যার নাম ইলিয়স কাঞ্চন।
সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যুর পর ব্যথাতুর হয়ে সড়কপথে সাধারণ মানুষের নিশ্চিত জীবনের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান তিনি। প্রায় তিন দশকের কাছাকাছি সময় ধরে আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার এ ব্যক্তিগত আন্দোলন এখন সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন শুধু সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েই নয় তিনি সমাজের নানা বিষয় নিয়ে সচেতনমুলক কাজ প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন।
একজন তারকা ভালো ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন, যা সাধারণের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। অনেকেই আছেন যাঁরা তারকাদের নিজেদের ব্যক্তিজীবনে আদর্শ ও অনুকরণীয় বলে মনে করেন। তাই সমাজের তাঁরকা শ্রেণীর মানুষদের সততা, নৈতিকতা আর আদর্শের জায়গাটি যত মজবুত হয় সমাজের জন্য সেটি ততই উপকার বয়ে আনে।
একজন তারকা যখন একটি ভালো কাজের কথা ভক্তদের সামনে বলে থাকেন তখন নিশ্চয় সেই ভালো কাজের প্রভাবটি ভক্তদের মাঝে পড়ে। যেহেতু ভক্তরা অনুকরণীয় তাই একজন তারকার এটাই উচিৎ সমাজে সেই ভাবে চলা বা কথা বলা যা থেকে অন্যরা শিক্ষা গ্রহন করতে পারেন। সম্প্রতি একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে যা দেখে অনেকেই প্রশংসা করছেন। ঘটনাটি এমন, ইলিয়াস কাঞ্চনের এক ভক্ত অনেক বছর আগে ইলিয়াস কাঞ্চনের মুখ থেকে একটি কথা সুনেছিলেন এবং সেই কথাটি সেই ভক্ত আজও মেনে চলছেন।
ইলিয়াস কাঞ্চনের ভক্তদের নিয়ে গঠিত একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে এই তথ্যটি পাওয়া যায় সেখানে সেই ভক্তর মেয়ে এই তথ্যটি শেয়ার করেন।
লুবনা ইয়াসমিন নামে সেই মেয়েটির লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
সালটা হতে পারে ১৯৯০/৯১ আমার বয়স ৭/৮ বছর। আমার বাবা তখন সিগারেট খেতেন, একদিন বিটিভিতে মহা নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সাক্ষাৎকারে বললেন “আপনারা যারা আমাকে ভালোবাসেন, আমার অভিনয়কে ভালোবাসেন আজ থেকে তারা আর সিগারেট খাবেন না”।
সেই থেকে আজ অবধি আমার বাবা সিগারেট খান নি।
তাই এই মহান মানুষটার কাছে আমাদের পরিবারের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমার বাবার এই ঘটনাটা আমি ওনাকে জানাতে চাই। প্লিজ আমার হয়ে কেউ এই কথা গুলো ওনাকে জানিয়ে দেবেন….।
(আমরা আশা করি লুবনা ইয়াসমিন এর পরিবারের কথাটি তাঁদের প্রিয় তারকা ইলিয়াস কাঞ্চনের নজরে পড়েছে এবং লুবনা ইয়াসমিনের বাবা ও পরিবারের প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চন ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। দোয়া রইলো এমন ভক্তদের প্রতি দোয়া রইলো সবার প্রিয় তারকা ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি।)