অপেক্ষা ছিল তাঁর একমাত্র পুত্র বাপ্পা লাহিড়ীর আমেরিকা থেকে ফেরার। গতকাল রাতেই তিনি সপরিবারে এসে পৌঁছান মুম্বাইয়ে। তারপর আজ সকালে তাঁর কম্পোজ করা সুর- চলতে চলতে ইয়াদ রাখনা… এর মূর্ছনার মধ্যে বাপ্পি লাহিড়ী পঞ্চভুতে বিলীন হলেন। থেকে গেল তাঁর স্মৃতি। ভিলে পারলে মহাশ্মশানে মুখাগ্নি করলেন বাপ্পা। বোন রেমা, তাঁর স্বামী, দৌহিত্র উপস্থিত ছিল শেষকৃত্যের এই অনুষ্ঠানে। সাজতে ভালোবাসতেন বাপ্পি। স্ত্রী চিত্রানি শেষবারের মত সাজিয়ে দেন বাপ্পিকে।
কালো রং পরতে খুব পছন্দ করতেন বাপ্পি। তাঁর নশ্বর দেহ পঞ্চভুতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের একটি পৃষ্ঠা বন্ধ হল। বলিউড এর যে ফিউশন আজ গোটা ভারত মাতাচ্ছে তার স্রষ্টা ছিলেন বাপ্পি। একটা সময়ে তাঁকে কপি লাহিড়ী বলে ডাকা হত। বিশ্বের বিভিন্ন গানের সুর নিয়ে তিনি ডালি সাজাতেন। বলতেন, সংগীত হল সমুদ্র। দু একটা নুড়ি পাথর কুড়িয়ে নিলে আপত্তি কোথায়।
একটা অপূর্ণ ইচ্ছা নিয়ে বাপ্পি লাহিড়ী চলে গেলেন। ইচ্ছা ছিল বিশ্বের ১০০টি দেশের সংগীত শিল্পী আর ১০০ যন্ত্রশিল্পী নিয়ে একটা কনসার্ট করবেন। সেই ইচ্ছা আর পূর্ণ হল না। ভিলে পারলের মহাশ্মশানে উপস্থিত বাপ্পি অনুরাগীরা আওয়াজ তোলেন- জুম্মা চুম্মা দে দে। আওয়াজ উঠলো কিন্তু শুনতে পেলেন না চির ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়া বাপ্পি লাহিড়ী।