নাসিম রুমি: কিছু বছর আগে বলিউডে #MeToo আন্দোলনের ঝড় বয়ে যায়। একের পর এক বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। সেই তালিকায় ছিলেন জনপ্রিয় পরিচালক সাজিদ খানও। যদিও বলিউড ধীরে ধীরে পুরোনো ছন্দে ফিরেছে, তবে সাজিদ তার ক্যারিয়ারে সেই ছন্দ খুঁজে পাননি।
সাজিদ খান তখন ‘হাউজফুল ফোর’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর প্রযোজকরা তাকে পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। রাতারাতি কাজহীন হয়ে পড়েন সাজিদ। তিনি জানান, এই পরিস্থিতি তাকে অবসাদে ডুবিয়ে দেয়। সাজিদ বলেন, ‘গত ছয় বছরে বহুবার আত্মহত্যার চিন্তা করেছি।’
কিছুদিন পর ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরর্স অ্যাসোসিয়েশন তাকে কাজের অনুমতি দিলেও ক্যারিয়ার আগের অবস্থায় ফিরেনি। সাজিদের ভাষায়, ‘কাজের অভাবে নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে আমাকে ভাড়া বাসায় উঠতে হয়েছে।’
অভিযোগ ওঠার সময় সাজিদ তার মায়ের কাছে এই বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। তিনি জানান, তার মা তখন অসুস্থ ছিলেন। সাজিদ বলেন, ‘মা জানতে পারলে হয়ত হৃদ্রোগে আক্রান্ত হতেন। তখন ফারহা (তার বোন) মায়ের কাছ থেকে সংবাদপত্র লুকিয়ে রাখত।’ পরে, ২০২৪ সালে সাজিদ ও ফারহা তাদের মা-কে হারান।
সাজিদ জানিয়েছেন, অভিযোগ নিয়ে এখন তার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তবে গত ছয় বছরে তার জীবন পুরোপুরি বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘এই সময়টায় নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।