সেলুলয়েডে ধারণ করা মুহূর্ত শতবছর ধারণ করার পরেও মূল্যায়ন হবে ইতিহাসের অংশ হিসেবে। ষাটের দশক থেকে আজ পর্যন্ত চলচ্চিত্র এবং ফিল্মের ধারণ করা সবকিছুই আমাদের অমূল্য সম্পদ। যা ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ নিরলসভাবে করে যাচ্ছে।
আজ ১৭ই মে ২০২৩ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে ওঠে আসে এসব কথা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সাবেক মহাপরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব জনাব কামরুন নাহার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব স. ম. গোলাম কিবরিয়া; প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। ফিল্ম আর্কাইভ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ভবন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আকতারুজ্জামান, সাবেক ফিল্ম আর্কাইভের ডিজিটাল চলচ্চিত্র সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার আলম, চলচ্চিত্র পরিচালক, শিক্ষক মসিহ উদ্দিন শাকের, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি লায়লুন নাহার স্বেমি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ।
৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, জায়েদ খান, শিপন মিত্র, তানভির, নাদের চৌধুরী, আলীরাজ, আলেকজান্ডার বো, ঝুনা চৌধুরী; অভিনেত্রী সুচন্দা, দিলারা জামান, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, সুচরিতা, দিলারা। আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক- ড. মতিন রহমান, পঙ্কজ পালিত, বেলায়েত হোসেন মামুন, কাওসার চৌধুরী, প্রসূন রহমান, আওকাত হোসেন, রফিকুজ্জামান, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, গাজী মাহবুব, নোমান রবিন, জুলফিকার জাহেদি, শাহ আলম মন্ডল, আবু মুসা দেবু, লেখক গবেষক অনুপম হায়াৎ, শিল্প সমালোচক, গবেষক মইন উদ্দিন খালেদসহ আরো অনেকে।
১৯৫৬ সালে আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত প্রথম কাহিনীচিত্র মুখ ও মুখোশ নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমান মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। প্রায় উন্নত সকল দেশে চলচ্চিত্র সংস্কৃতি সংরক্ষণরে জন্য জাতীয় পর্যায়ে ফিল্ম আর্কাইভ রয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী আমাদের দেশেও ফিল্ম আর্কাইভ তৈরি প্রচেষ্টা শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনার কারণে এ উদ্যোগ থমকে গেলেও পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ১৭ই মে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের গুরুত্ব অনুধাবন করে ডিজিটাল আর্কাইভ ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনকি ভবন নির্মাণ করে বিশ্ব মানের ফিল্ম আর্কাইভের কার্যক্রম গতিশীল করে।
আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক জনাব ফারহানা রহমান।