বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে লোকউৎসব: নান্দনিক পরিসর ও তাত্ত্বিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক সুমাইয়া নাসরীন ঐশী। আজকের ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে লোকউৎসব: নান্দনিক পরিসর ও তাত্ত্বিক পর্যালোচনা’ প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক জনাব শফী আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিং ঘোষ, গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান। স্বাগত আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল।
সেমিনার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো: নিজামুল কবীর। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও গবেষকগণ। অধ্যাপক শফী আহমেদ
অধ্যাপক, ইংরেজী বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শফী আহমেদ বলেন, বাংলা চলচ্চিত্র এখনও আমাদের গৌরবময় সংস্কৃতির উজ্জ্বল প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু আবাদ করলে ফলবে সোনা, সেই প্রবচনের বাস্তবায়নে বাণিজ্যিক ছবিতেও আমাদের লোকজ উপাদানের নান্দনিক পরিবেশনার লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের উদ্যোগে এবং সুমাইয়া নাসরীন ঐশীর শ্রমশীলতায় যে গবেষণা কর্ম চলমান, তা আমাদের শিল্প প্রয়োগকে চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনায় সহায়তা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অধ্যাপক ড. বিশ্বজিং ঘোষ অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড. বিশ্বজিং ঘোষ আজকের সেমিনারে বলেন, চলচ্চিত্র একটি জাতির সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান। চলচ্চিত্রে লোক-উৎসব সেই উপাদানেরই বিশিষ্ট এক দিক। সুমাইয়া নাসরীন ঐশীর গবেষণাপত্র সে বিবেচনায় তাৎপর্যপূর্ণ। এই গবেষণা থেকে বাঙালি সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক আবিস্কৃত হবে বলে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি।
ড. মতিন রহমান চলচ্চিত্র পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ড. মতিন রহমান বলেন, বাংলার লোক সংস্কৃতি এবং উৎসবের মাঝেই বাংলার, বাঙালির প্রাণস্পন্দন। এই বিষয় নিয়ে আজকের সেমিনার সত্যিকার অর্থে সফল হলে বাঙালির শেকড় সন্ধান হবে।