নাসিমরুমি: যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিতে সেখানে অবস্থান করছিলেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। শুরুতে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও একসময় নিজেই তা প্রকাশ্যে আনেন। এই খবরে দেশের চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং শাকিবভক্তরাও শঙ্কায় ছিলেন- তবে কি শাকিব খান আর সিনেমায় ফিরবেন না?
সব আশঙ্কা পেছনে ফেলে ৯ মাস পর ১৭ আগস্ট দেশে ফিরেছেন শাকিব খান। দেশে ফিরে এয়ারপোর্টেই জানিয়েছিলেন নতুন কিছু চমক আসছে। এরপর তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নানা কাজে।সম্প্রতি আমেরিকা মিশন নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকাই ছবির এই শীর্ষ নায়ক। শাকিব খান বলেন, সবাই আমার গ্রিন কার্ড নিয়ে যেভাবে কথা বলছে, এটা আসলে খুবই দুঃখজনক। শিল্পী ও মেধাবী ক্যাটাগরিতে আমেরিকার ইমিগ্র্যান্ট ভিসা পেয়েছি। তা ছাড়া বিশ্বব্যাপী বাংলা সিনেমা ছড়িয়ে দিতে সেখানে প্রযোজনা করতে যাচ্ছি। এসব কাজ করতে গেলে আমেরিকার নীতিমালা অনুসরণ করতে হচ্ছে। তাছাড়া এই দেশেই আমার সবকিছু। বিদেশে স্থায়ী হওয়ার কিছু নেই।
এই প্রথম দীর্ঘ ৯ মাস পরিবার ছেড়ে দেশের বাইরে ছিলেন শাকিব খান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকায় যাওয়ার পর শুরুতে দিন ভালোই কেটেছিল। পরবর্তী সময়ে একটু খারাপ লাগছিল। কারণ পরিবারের বাইরে এতটা সময় কোথাও ছিলাম না। এরপর সিনেমার পরিকল্পনা করি। প্রতিদিনই সিনেমার গল্প, সংলাপ, লোকেশন নিয়ে আলোচনা হতো। এভাবেই সময় কেটেছে। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়তাম। ভালোমন্দ মিলিয়ে সময়টা উপভোগ করছি। তবে দেশে ফেরার মুহূর্তটা ছিল অন্য রকম। এটা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বর্তমানে কি নিয়ে ব্যস্ত এ অভিনেতা? জানতে চাইলে বলেন, আমার অনেক কাজ আটকে ছিল। সম্প্রতি বার্জার পেইন্টসের বিজ্ঞাপনের শুটিং শেষ করেছি। শিগগিরই আরও কয়েকটি বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু করব।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, ফের আমেরিকায় যাচ্ছেন শাকিব খান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অক্টোবরে আমেরিকার আয়োজকরা একটি অনুষ্ঠান করতে চাইছেন। হয়তো এক সপ্তাহের জন্য যাওয়া হবে। তবে এখনও সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। তা ছাড়া এখন যাওয়া-আসা করতে তেমন সমস্যা হবে না। সব মানিয়ে নিয়েছি।