বার্লিন চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক উৎসবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার হয় কোরিয়ান সিনেমা এক্সহুমার। থ্রিলার ও ভৌতিক ঘরানার সিনেমাটি উৎসবে নজর কাড়ে। এর এক সপ্তাহ পরই সিনেমাটি কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বাজারে মুক্তি পায়।
এরপর থেকেই আলোচনায় এক্সহুমা। নির্মাণশৈলী, গল্প বলার ধরন, গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য ও প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া কীভাবে শুটিং করা হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা।
জং জে-হিউনের সিনেমা ‘এক্সহুমা’র সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বক্স অফিস। এর মধ্যেই চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি আয় করা কোরীয় সিনেমার তকমা পেয়েছে সিনেমাটি।
সুপার ন্যাচারাল ঘরানার ‘এক্সহুমা’ যেন সব রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আট কোটি ডলার আয় করেছে সিনেমাটি। মুক্তির পর টানা ছয় সপ্তাহ দাপটের সঙ্গে চলেছে সিনেমাটি।
ভ্যারাইটি জানিয়েছে, গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত এক্সহুমার টিকিট বিক্রি ১ কোটি ছাড়িয়েছে। কোনো কোরীয় সিনেমার জন্য যা একটি রেকর্ড। আলোচিত সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন চোই মিন-সিক, কিম গো-ইয়ুন, ইয়ো হে-জিন, লি ডো-হিউন।
এক্সহুমা’র প্রশংসা করে দ্য কোরিয়া হেরাল্ড লিখেছে, ‘দুর্দান্ত অভিনয় নিঃসন্দেহে সিনেমাটির বড় শক্তি। এখানে যেভাবে গল্প বলা হয়েছে, সেটা হরর সিনেমাটির ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’
ভৌতিক এই সিনেমায় লাশ কবর দেওয়ার পর পূর্বপুরুষদের আত্মা ভর করে পরিবারের ওপর। অভিশপ্ত এই জীবন থেকে বাঁচতে চায় একটি পরিবার। এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে আসে গোয়েন্দা দল।
তারা পূর্বপুরুষদের অশুভ কবর খুললে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার লোককাহিনি ও পৌরাণিকতার মিশ্রণেই তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।
এক সাক্ষাৎকারে ছবির পরিচালক জে হিউন জাং বলেন, ‘সিনেমার অনেক দৃশ্য ও দৃশ্যে ব্যবহৃত প্রপস সত্যিকারের। সিনেমার শুটিংয়ে কোনো স্টুডিও ব্যবহার করা হয়নি। অনেক দৃশ্যে সিজি ইফেক্ট মনে হলেও সেগুলো অ্যাভয়েড করা হয়েছে। ভৌতিক চরিত্রের মেকআপের জন্য ছয় ঘণ্টা করে সময় দিতে হয়েছে।’