ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড। দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ছোট্ট শিশুও। বিশ্বের অন্যান্য মানুষদের মতো চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন নিয়ে বেশ সরব দুই বোন ও মার্কিন মডেল বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদ।
শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনে নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছেন তারা। এ কারণে ক্যারিয়ারে নানান বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে দুই বোনকে। এমনকি তাদেরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়েছে ইসরায়েল।
কিন্তু কোনো হুমকি-ধমকির তোয়াক্কা করেননি বেলা-জিজি। বরং ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান পাঠিয়েছেন বেলা-জিজি।
আমেরিকার একটি ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য ১ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে বেলা-জিজি; যা চারটি দাতব্য সংস্থার হাত দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে এই অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় সমানভাবে বরাদ্দ করে দিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান তিনি।
সেদিনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে বেলা হাদিদ লিখেছিলেন— ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা হোক। এটি সর্বদা আমার মনে, রক্তে এবং হৃদয়ে মিশে রয়েছে। যদিও আমাকে এখনও এই ভয়াবহতার মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে, আমরা আমাদের (ফিলিস্তিনিদের) সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করছি।
আমরা যেখানেই যাই না কেন, সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনকে দেখতে পাবে। পরনের এমন কেফিয়াহ পোশাক ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করছে। গাজায় এই মুহূর্তে গণহত্যার মত যা ঘটছে, সে সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করুন।’
প্রসঙ্গত, জিজি হাদিদ ও বেলা হাদিদের বাবা মোহামেদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি। এবং মার্কিন মা ইয়োলান্ডা হাদিদ। তাদের বাবা মোহামেদ একজন বড় ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ইয়োলান্ডা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।