তারকারা আসলে কী? প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাণ্ডকারখানা শুনলে তাদের নিয়ে সেই ঘোর অনেকটা কেটে যাবে ভক্তদের। আমির খানের কন্যা ইরা খান যেমন অটোয় চড়ে ঘোরেন, প্রিয়াঙ্কা হয়তো ততটা পারেন না, তবে আমেরিকায় থেকে, হলিউডের নায়িকা হয়েও দিব্যি বজায় রেখেছেন স্বাভাবিক মানবজীবন। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো তিনিও ভুলভাল কাজ করেন, তাৎক্ষণিক মিথ্যার আশ্রয়ও নেন, এমনটাই জানালেন এক সাক্ষাৎকারে।
একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ফাঁকি দিয়ে যা খুশি বলে দেওয়ারও উপায় ছিল না তার। কারণ, তারকাদের জীবনের খুঁটিনাটি নখদর্পণে থাকে অনুরাগীদের। তাদের ফাঁকি দেওয়ার যে সাধ্য নেই!সেই সাক্ষাৎকারে মন খুলে উত্তরও দিয়েছিলেন ‘দেশি গার্ল’।
এমন কোনও ছবি আছে, যাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি, কিন্তু মন থেকে চাননি? জানতে চাওয়া হয়েছিল অভিনেত্রীর কাছে। প্রিয়াঙ্কার জবাব, “কোন ছবি, সেটা বলব না, কিন্তু অভিজ্ঞতাটা খুব খারাপ ছিল। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো শটের জন্য। অর্থহীন কতগুলো সংলাপ আওড়াতাম।”
নিজের বিরক্তি গোপন রাখেননি তিনি। তবে নিজের উপরও একটি বিশেষ কারণে খানিক বিরক্ত তিনি। ফাঁস করেন সেই লজ্জার অধ্যায়ও, যা আর কখনও মনেই করতে চান না।
প্রিয়াঙ্কা জানান, প্রকাশ্যে বাতকর্ম করে ফেলেছিলেন ভিড়ের মধ্যে। যদিও আশপাশের কেউ বুঝতে পারেননি। আর পাঁচজনের মতো আরেকটি কাজ প্রায়ই করেন বলে স্বীকার করে নেন প্রিয়াঙ্কা। জানান, অনেক সময় বাড়ি থেকে না বেরিয়েও ফোনে বলে দেন রাস্তায় আছেন তিনি। তার কথায়, “সব সময় এটাই করি। কাজেই, যদি বলি রাস্তায় আছি, কখনও বিশ্বাস করবেন না।”
হ্যাঁ, তিনি নাকও নাকি ডাকেন! প্রিয়াঙ্কার কথায়, “আমার স্বামী নিক বলে, আমি ঘুমের মধ্যে ভালই নাক ডাকি। যদিও স্বীকার করি না আমি। আমি মোটেই নাক ডাকি না!”
পরোটা এবং বার্গারের মধ্যে যেকোনও একটিকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। উত্তরে জানিয়েছিলেন তিনি, সে দিন সকালেই তিনখানা পরোটা খেয়েছেন। সব প্রশ্নের উত্তরেই সত্যি বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
শেষে তিনি হেসে ওঠেন কখন তাকে বলিউড এবং টলিউডের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলা হবে ভেবে। মিথ্যা বলেননি বিশেষ, ছদ্ম লাই ডিটেক্টর-এর সবুজ সঙ্কেত জানিয়ে দিয়েছিল তেমনটাই। কেবল, নাক ডাকার উত্তরে তিনি সত্যিটা লুকিয়ে গিয়েছিলেন বলেই জানান দেয় সেই যন্ত্র। বলিউডে প্রত্যাখ্যাত হয়েই যে হলিউডে ক্যারিয়ার গড়েছিলেন, এ কথা আগেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। ফাঁস করেন বলিউডের স্বজনপোষণ নীতির চাপ এবং ষড়যন্ত্রের কথাও।