শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ইতোমধ্যে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে জয় করেছেন দর্শক জনপ্রিয়তা। তবে অভিনয়ে প্রশংসার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে নিয়েও অনেক সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বাঁধন। বিয়ের পর সংসারেই মন দিয়েছিলেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ খ্যাত অভিনেত্রী। কিন্তু শত চেষ্টা করেও টেকাতে পারেননি সেই সংসার। সাংসারিক জীবনে খুব একটা সুখী ছিলেন না তিনি। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই জীবনের বিভীষিকাময় এক অধ্যায় শুরু হয় তার জীবনে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যন্ত্রণাময় সেই বিষয়গুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন বাঁধন।
তিনি বলেন, আমার জীবনের সবচাচে খারাপ দিনগুলো পার করেছি সে সময়। শ্বশুরবাড়িতে নানাভাবে অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছিলেন এ লাস্যময়ী। বিয়ের পর প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে কোনোভাবেই পড়াশোনা করতে দিতো না। এমনকি তাদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে সব বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাঁধন।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর তার সঙ্গে দিনের পর দিন জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতেন স্বামী মাশরুর। সবই মেনে নিয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন সন্তান হলে হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি। সে সময় কাউকে তার কষ্টগুলো বোঝাতে পারেননি অভিনেত্রী।
পরে অত্যাচারের সীমা ছারিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেত্রী। ডিভোর্সের পর বর্তমানে মেয়ে এবং ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন বাঁধন।