সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খান বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন এ অভিনেতা। ষাটোর্ধ্ব অভিনেতা জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি খাবার হিসাবে হোক বা সাপ্লিমেন্ট— বেশি বেশি পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ খাওয়ার কারণেই তিনি এখনো নাকি সুস্থ ও সতেজ আছেন। অসুখবিসুখ তেমন একটা কাবু করতে পারেনি তাকে বলেও জানান চাঙ্কি পান্ডে।
এ বিষয়ে চাঙ্কি পান্ডের বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ শ্বেতা বিরালি বলেছেন, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, কোলাজেন তৈরি করতে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জন্য ভিটামিন ‘সি’ খেতেই হবে। সাপ্লিমেন্টের থেকেও ভালো প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন ‘সি’ নেওয়া হয়। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেলে সংক্রামক অসুখবিসুখের ঝুঁকি কমবে। শরীরের পাশাপাশি মনের জন্যও ভালো ভিটামিন ‘সি’। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রাখলে মানসিক চাপ ও অবসাদ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে ৯০ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন। আর নারীদের ক্ষেত্রে তা ৭০-৭৫ মিলিগ্রামের মতো। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দৈনিক ভিটামিন ‘সি’র প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি, প্রায় ১২০ মিলিগ্রাম। ভিটামিন ‘সি’ যতই খান না কেন, তা যেন দিনে ২০০০ মিলিগ্রাম ছাড়িয়ে না যায়। এর বেশি হলেই নানা সমস্যা দেখা দেবে।
এ পুষ্টিবিদ আরও বলেছেন, ভিটামিন ‘সি’ পেতে হলে লেবু, আঙুর, কলা, আপেল, পেয়ারা ও বেদানার মতো ফল খেতেই হবে। বাঁধাকপি, টমেটো ও ক্যাপসিকামের মতো সবজিতেও ভিটামিন ‘সি’ ভরপুর থাকে। লেবুজাতীয় ফলে ভিটামিন ‘সি’র পরিমাণ বেশি। একটি গোটা লেবুতে ৫৩ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন ‘সি’ থাকে, আবার একটি গোটা পেয়ারায় প্রায় ২২৮ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন ‘সি’ থাকে। এই ভিটামিন পানিতে দ্রবীভূত হয়। ফলে বেশি মাত্রায় খেলেও তা মূত্রের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে ২০০০ মিলিগ্রাম ছাড়িয়ে গেলে পেটব্যথা, ডায়েরিয়া ও কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বেড়ে যায়।