হঠাৎ বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে বিয়ের খবর দেশের ‘জাতীয় ক্রাশ’ খ্যাত অভিনেত্রী পূর্ণিমার। খবরটা নিজেই দিয়েছেন গণমাধ্যমকে। পাত্র আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি পেশায় বহুজাতিক একটি কম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
বাপ্পি নব দম্পতির ছবি পোস্ট করে একটি জনপ্রিয় বিচ্ছেদী গানের ছয়টি লাইন তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, ‘ভাবিনি কখনো যাবে চলে, এভাবে আমাকে একা ফেলে। স্বপ্ন নিজের হাতে ভাঙলে তুমি, একা কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত আমি। প্রতিশোধ নেবে নাও আমি বাধা দেবো না, একবার বলে যাও কেনো আমার হলে না। ‘
এরপরই বিরহের ইমো দিয়ে লিখলেন- তবুও কনগ্রেচুলেশন!
এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই পূর্ণিমার জন্মদিনে তাকে উইশ করেছিলেন বাপ্পি। সে সময় বাপ্পি জানান, পূর্ণিমার জন্যই বিয়ে করছেন না তিনি। আছেন তারই অপেক্ষায়। কারণ পূর্ণিমাই তার ‘ক্রাশ’।
সেদিন ফেসবুকে জন্মদিনের উইশ করে বাপ্পি লিখেছিলেন, ‘আপনি আমার ক্রাশ। এজন্য এখনও বিয়ে না করে আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। শুভ জন্মদিন পূর্ণিমা আপু’।
বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করেন পূর্ণিমা। তিনি বলেন, কাজের সূত্র ধরেই তার (রবিন) সঙ্গে পরিচয়। তিন বছরের পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে পরষ্পরের মন দেয়া-নেয়া।
বিয়ের পরেই পূর্ণিমাসহ তার পরিবারের অন্যরা অসুস্থ ছিলেন। কারো কারো কভিড ছিল। সে কারণে তার বিয়ের খবর জানাতে দেরি হয়েছে বলে জানান এ নায়িকা।
পূর্ণিমা জানান, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ সবকিছু পেয়েছেন রবিনের মধ্যে। সেখান থেকে সম্পর্ক মজবুত হয়। বলেন, পরে দুই পরিবার আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়। ২৭ মে পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
চলতি বছরের শেষ দিকে রবিন-পূর্ণিমার বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ ফাহাদ জামালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পূর্ণিমা। সেখানে তাদের আরশিয়া উমাইজা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
আহমেদ ফাহাদ জামালের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছিলেন অভিনেত্রী। তবে চূড়ান্ত বিচ্ছেদ কবে হয়েছে এ বিষয়ে জানা যায়নি।