English

25 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করলেন শাকিব খান

- Advertisements -

কথিত প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খানের মামলা নেয়নি ডিএমপির গুলশান থানা পুলিশ। এর একদিন পরই রহমত উল্লাহকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও অন্যরা সহযোগিতা করছেন বলে দাবি করেছেন শাকিব।

রোববার (১৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এদিন দুপুরে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে যান শাকিব খান।

গতকাল শনিবার রাতে গুলশান থানার ওসিসহ অন্য কর্মকর্তাদের আচরণ বিষয়ে শাকিব খান বলেন, গুলশান থানার ওসি ও অন্য অফিসারদের অ্যাক্টিভিটিস দেখে আমার মনে হয়েছে, তারা এই প্রতারককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছেন কি না। আমার কাছে এটা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।

ঢালিউডের এই সুপার হিরো বলেন, গতকাল শনিবার রাতে প্রতারক-বাটপার প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় গিয়েছিলাম। গুলশান থানা পুলিশের ওসিকে আমি ও আমার আইনজীবী অনেক চেষ্টা ও বোঝানোর পরও মামলা নেয়নি। তিনি (ওসি) আমাকে বললেন, যেখানে খুশি অভিযোগ করতে পারেন, আমি আপনার মামলাটি নিলাম না।

‘আমি একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে থানায় গিয়ে মামলা করতে পারবো না? এটা আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে’- যোগ করেন শাকিব।

তথ্য ঘাটতির কারণে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানিয়েছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা শাকিব খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আগে-তো মামলা নেবে, তারপর যাচাই-বাছাই করে বলবে আমার তথ্যে ভুল আছে কি না। তারাতো তদন্তই করলেন না, অভিযোগ আমলেও নিলেন না। এজন্য আমার কাছে মনে হয়েছে প্রতারককে পালাতে তারা সহযোগিতা করছেন কি না। আমার সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।

রহমত উল্লাহকে ‘ভুয়া ও বাটপার’ আখ্যা দিয়ে শাকিব বলেন, বাটপার রহমত উল্লাহ শুধু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি, গোটা চলচ্চিত্রের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমাকে পছন্দ করে এমন দেশের লাখো-কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

ভুয়া সংবাদগুলো সবার মধ্যে ছড়িয়েছে জানিয়ে এই চিত্রনায়ক বলেন, আমার মনে হয় শুধু রহমত উল্লাহ একা ছিল না, তার পেছনে আরও অনেক লোক ছিল। না হলে এই বাটপার রহমত উল্লাহ এফডিসির ভেতরে গিয়ে আমাদের তিন থেকে চারটি ভাইটাল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে প্রযোজক সেজে ভুয়া তথ্য দিয়ে, ভুয়া বিচার চায় কীভাবে? (রহমত উল্লাহ) আপনাদের মিডিয়ার কাছে বারবার একটি কথাই বলছে, তাকে টাকা দিয়ে দিক, সে চলে যাবে।

শাকিব খান বলেন, সাংবাদিকরা প্রযোজক সমিতিতে গিয়ে দেখলে বুঝতেন, ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই ছবি (অপারেশন অগ্নিপথ) প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম অন্য, আর এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জানে আলম নামে এক ব্যক্তি। রহমত উল্লাহ প্রযোজক না, তার সঙ্গে আমার কিংবা পরিচালকের কোনো চুক্তি নেই। এতো বছর পর প্রতারক রহমত উল্লাহ যে অভিযোগটা নিয়ে এলেন তার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমার লিগ্যাল টিম সব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনি পদক্ষেপে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ঢাকার ডিবি যে কোনো মামলা বা অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করে। সেজন্যই ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা বলে তার অফিসে গিয়ে দেখা করেছি। তিনি দীর্ঘ সময় নিয়ে আমার সব কথা শুনেছেন। তিনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেছেন।

শাকিব খান বলেন, ডিবিপ্রধান আমাকে আশ্বস্ত করছেন প্রতারককে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন। আমি আশ্বস্ত হয়েছি এবং আমার বিশ্বাস অন্যসব ঘটনার মতো আমার অভিযোগের বিষয়টিও দ্রুততার সঙ্গে ডিবি নিষ্পত্তি করবে। আমি ডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি, ডিবি তা গ্রহণ করেছে।

গত বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে সশরীরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে হাজির হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। পরে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। এ অভিযোগের পরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় বিনোদনপাড়ায়।

এর একদিন পরই গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে এক টেবিলে বসলেন শাকিব খান এবং অভিযোগকারী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এর উদ্যোগ নেন শাকিবের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তবে এক টেবিলে বসলেও বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানা যায়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন