দেশের অন্যতম মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। মডেলিং ও অভিনয়ের সাথে তিনি আইন পেশা নিয়েও সমান ব্যস্ত। নতুন খবর হলো এবার আরও একটি ভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আসছেন তিনি। ‘পিকচার পারফেক্ট’ নামে একটি কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছেন পিয়া। জানা গেছে, আগামী ১৯-২০ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই কর্মশালার মূল্য লক্ষ্য থাকবে গ্রুমিং।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “এবারই প্রথম এমন কোনো কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছি। আগামী ১৯-২০ মে তেজগাঁওয়ে প্রাথমিকভাবে যে কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে, সেখানে শুধুমাত্র মডেলদের গ্রুমিং করা হবে। আমাদের দেশে দেখা যায় মডেলদের স্ট্রাগলিং সময়টা দীর্ঘ হয়। তারা অনেক সময় ফ্যাশন জগতের ‘এটিকেট নোমস’ বুঝে উঠতে পারেন না। তাই তাদের জন্য ১৯ ও ২০ মে, দু’দিন বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘দেখা যায়, এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা চাকরি করছেন কিন্তু প্রমোশন হচ্ছে না। কেউ হয়তো চাকরিই পাচ্ছেন না কমিউনিকেশন স্কিলের কারণে। কোথায়, কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা বুঝছেন না। পারসোনাল নানা রকম ডেভেলপমেন্টের অভাব, সেগুলো নিয়েও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটা নিয়ে পরে সারাদেশে কাজ করার ইচ্ছা আছে। প্রথম দিকে কাউকে ওভাবে বলছি না, শুরুটা দেখতে চাই। তারপর খণ্ডকালীন কোর্স চালু করব। যেখানে পরামর্শ দেবেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞরা।’
এদিকে, গত শুক্রবার থেকে পিয়া জান্নাতুল শুরু করেছেন ‘মনের বন্ধু’ নামের একটি শো। এটি মূলত কাউন্সেলিং শো। যেখানে পিয়ার সঙ্গে একজন মনোবিদও থাকছেন। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে এই অনুষ্ঠানে ফোন করে জানাতে পারবে দর্শক। সেখানে মনোবিদ কিছু পরামর্শ দেবেন।
পিয়া জান্নাতুল বলেন, প্রতি শুক্রবার নাগরিক টেলিভিশনে রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সরাসরি প্রচারিত হবে নতুন এই শো-টি। এখানে আমিও নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু বলার চেষ্টা করব। ডিপ্রেশন এখন বড় একটা ব্যাধি হয়ে উঠছে। আমরা যতটা ফিজিক্যাল হেলথ নিয়ে চিন্তিত, মেন্টাল হেলথ নিয়ে ততটা চিন্তিত হই না। সেখান থেকেই শো করছি।
শো-টিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ করার ইচ্ছা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলেই টের পাই মানুষের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা। অনেকেই রাগ করে একটা কথা বলে দেয়, এর মানে হলো সে কিছুটা হলেও মেন্টালি ডিস্টার্বড। সমস্যাটা যদি সে কারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারে, কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে। আমরা সবাই এতই ব্যস্ত যে কাছের মানুষের কথাও শুনতে পাই না। সামনে আইন বিষয়ক শোও করতে চাই। সাধারণ মানুষের কাছে আইনি পরামর্শ সহজে পৌঁছাতে পারলে ভালো লাগবে আমার।