পহেলগাঁও হামলার কারণ হিসেবে ভারতে ধর্মের বিষয়টিকে টেনে আনছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। সামাজিক মাধ্যম জুড়ে নেটিজেনদের আলোচনা-সমালোচনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। যা কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এবার পহেলগাঁওকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্হা। তিনিও বিষয়টিকে বিভাজনের রাজনীতিই মনে করছেন।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, হিন্দুদের ওপর যা কিছু হচ্ছে, তা নিয়ে আপনার মতামত কী?—এমন প্রশ্ন করতেই একবারে সবাইকে চুপ করিয়ে দিলেন অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি যে বিভাজনের রাজনীতিতে পা দেবেন না, সেটিও স্পষ্ট করে দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
একটি অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর সময় ফটোসাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তেই ক্ষুব্ধ হন অভিনেতা। তিনি বলেন, এত হিন্দু হিন্দু করার কী আছে এখানে। হিন্দু-মুসলিম— সবাই ভারতীয়। পাশাপাশি তিনি এ রকম একটা ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে দেখানোর বিরোধিতা করেছেন।
শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, এটা একটা ‘প্রোপাগান্ডা যুদ্ধ’ চলছে। বিষয়টি খুব সংবেদনশীল। খুব সাবধানে পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন কিছু করা উচিত নয়, যেখানে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। ক্ষতটা একেবারে তাজা। সেরে উঠতে সময় দিতে হবে। শত্রুঘ্নের মতো তার মেয়ে সোনাক্ষীও বাবার মতো বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে।