সদ্য ৪০-এ পা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। মায়ানগরীর কোলাহল থেকে দূর সমুদ্রসৈকতে জন্মদিন উদযাপন করেছেন তার স্বামী বলিউড অভিনেতা ভিকি কৌশলের সঙ্গে। পরের দিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও একটি খুশির খবর দিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছে শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত ছবি ‘মেরি ক্রিসমাস’।
এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ক্যাটরিনা এবং দক্ষিণী তারকা বিজয় সেতুপতি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘মেরি ক্রিসমাস’।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় এই খবর জানান ক্যাটরিনা নিজেই। তারপরেই বিপত্তি। অভিনেত্রীর ছবির মুক্তির তারিখ ঘোষণার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করন জোহরের। কারও নাম উল্লেখ না করলেও সেই পোস্ট যে ক্যাট ও ‘মেরি ক্রিসমাস’-এর টিমকে উদ্দেশ্য করেই করা, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কৌতূহলী অনুরাগীদের। তবে কি চিড় ধরল ক্যাটরিনা ও করনের বন্ধুত্বে?
করন ওই পোস্টে লেখেন, “একবারও আগে থেকে না জানিয়ে একই দিনে দু’টি ছবির মুক্তির সিদ্ধান্ত ছবি নির্মাতা ও ছবির প্রযোজকদের জন্য কতটা লাভজনক, জানি না।”
এরই সঙ্গে ‘রকি আউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির পরিচালক লেখেন, “এমনিতেই বক্স অফিসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির ব্যবসার এখন এই অবস্থা। এর মধ্যেও একসঙ্গে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা না করলে মুশকিল।”
কিন্তু করনের এই পোস্টের সঙ্গে ক্যাটরিনা কীভাবে জড়িয়ে গেলেন? আসলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত ছবি ‘যোদ্ধা’-র মুক্তি পাওয়ার কথা। করনের ‘ধর্মা প্রোডাকশনস’ প্রযোজিত এই ছবি প্রাথমিকভাবে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ৭ জুলাই। সেই তারিখ পিছিয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বরে। সব শেষে ছবির নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নেন, ১৫ ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে ছবি। হিসাবটা সহজ। কারণ সেক্ষেত্রে বক্স অফিসে টক্করে নামবে ‘মেরি ক্রিসমাস’ এবং ‘যোদ্ধা’। একই দিনে দু’টি ছবি মুক্তি পেলে তাদের বক্স অফিস ব্যবসায় তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাতে লাভের অংক কমে নির্মাতাদের। অনেকেই মনে করছেন সে কথা স্মরণ করেই করনের এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট।
হিন্দি ও তামিল— দু’টি ভাষায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘মেরি ক্রিসমাস’। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীরাম বলেন, “এটা একটা ছবির দু’টি ভাষায় সংস্করণ নয়। হিন্দি ও তামিল ছবি দু’টি স্বতন্ত্র ছবি। মূল গল্পটা এক, তবে বেশ কিছু জায়াগায় পরিবর্তন আছে। ক্যাটরিনা আর বিজয় দু’টি ছবিতেই আছেন। তবে অন্যান্য চরিত্রে অভিনেতা বদলেছে। এর মূল কারণ হল, আমি চাইনি ‘মেরি ক্রিসমাস’ আগাগোড়া একটি তর্জমাসর্বস্ব ছবি হয়ে রয়ে যাক।”