নাসিম রুমি: পুরো নাম আদিল হোসেন নোবেল। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে চেনে শুধু নোবেল নামেই। শুধুমাত্র মডেলিং দিয়েও যে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তার জাল ছড়ানো যায়, তার জীবন্ত উদাহরণ নোবেল।
নব্বই দশক থেকে শূন্য দশক মাতানো এই মডেল নিজেকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, অন্য হাজারো মডেলের কাছে তিনিই মডেল।
নোবেলের বেড়ে ওঠা নিজ শহর চট্টগ্রামেই। পড়াশোনাও সেখানে। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে চলে আসেন ঢাকায়। এরপর ঢাকার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে সম্পন্ন করেন এমবিএ। এছাড়া, সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এবং জেভিয়ার লেবার রিলেশনস ইনস্টিটিউট থেকে ‘কি অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট’-এর ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই তারকা।
নোবেল মডেলিং জগতে পা রাখেন ১৯৯১ সালে। কোমল পানীয় স্প্রাইটের একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করেন সে বছর। কিন্তু ভাগ্যের চাকা উল্টো! সেই বিজ্ঞাপন আর প্রচারে আসেনি। এর কিছু দিন পরেই আজাদ বলপেনের মডেল হন নোবেল। ব্যাস, এটাই তাকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
তারপর থেকে মডেলিং দুনিয়ায় যেন নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন নোবেল। একের পর এক বিজ্ঞাপনে কাজ করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। তাকে দেখে এই ভুবনে আসার জন্য সাহস পায় অন্য তরুণরাও। যার ফলে তিনি অনেকের কাছেই আদর্শ।
মডেলিংয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি নোবেল। নাটকেও কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘প্রাচীর পেরিয়ে’, ‘কুসুম কাঁটা’, ‘ছোট ছোট ঢেউ’, ‘তাহারা’, ‘প্রিমা তোমাকে’, ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’, ‘বৃষ্টি পরে’, ‘নিঃসঙ্গ রাধাচূড়া’, ‘তুমি আমাকে বলোনি’, ‘হাউজ হাজব্যান্ড’, ‘সবুজ আলপথে’ ইত্যাদি।
সিনেমায় কাজেরও বহু প্রস্তাব পেয়েছেন নোবেল। কিন্তু এই ভুবনে আগ্রহী নন বলে তিনি কাজ করেননি। কালজয়ী ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্যও প্রস্তাব পেয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
বর্তমানে শোবিজ ভুবনে নিয়মিত নন নোবেল। মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে ‘হেড অব এন্টারপ্রাইজ বিজনেস’ হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।