ছোট পর্দার গুণী অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ। অভিনয় ক্যারিয়ারের ২৯ বছর পূর্ণ করেছেন। পা দিলেন ৩০-এ। ১৯৯৩ সালে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও প্রয়াত মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ প্রযোজিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক দিয়েই টিভি অভিনয় শুরু করেন বিজরী। তিনি নিজে এই নাটকটিকেই তার অফিসিয়াল প্রথম নাটক হিসেবে দাবি করেন।
যদিও ১৯৮৮ সালে ‘সুখের ছাড়পত্র’ নামে আরেকটি নাটকে তাকে ছোট্ট একটি চরিত্রে দেখা গেছে। সে নাটকে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটি অবশ্য বেশ নাটকীয়। আরেকজন অভিনেত্রী শেষ মুহূর্তে না আসায় অন্য অভিনয়শিল্পীদের অনুরোধে বিজরীকে নির্বাচন করা হয়। অবশ্য ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকেও বিজরীর অভিনয় করা হতো না। মাত্র আড়াই বছর বয়সে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘মাকে নিয়ে’ অনুষ্ঠানে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
বোধ হবার পর থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে নৃত্যশিল্পী হবেন। ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকের আগে বিটিভিতে নাচের অডিশন দিতে গিয়ে আবেদনপত্র ভুল করে জমা দিয়েছিলেন অভিনয়ের অডিশনের বক্সে। তারপর ঘটেছিল আরও মজার ঘটনা। ঈদের জন্য মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ অংশ নিয়ে বিজরী বরকতউল্লাহ তার স্মৃতির ঝাঁপি থেকে স্মরণীয় সব ঘটনা তুলে এনেছেন দর্শকের জন্য।
দীর্ঘ তিন দশকের ক্যারিয়ারে বড় পর্দায় মাত্র ২টি দৃশ্যে তাকে দেখা গেছে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রে। তবে সময় সুযোগ ও ভালো চরিত্র ও স্ক্রিপ্ট পেলে গল্পপ্রধান চলচ্চিত্রে কাজ করতে চান তিনি, সে কথাও জানালেন।
সদ্য প্রয়াত বাবা মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ’র কথা স্মরণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিজরী। বাবা শিখিয়েছিলেন, কখনো অর্থের পেছনে ছুটবে না। সে কথাটি প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করেন তিনি। মা জিনাত বরকতউল্লাহ, বোন কাজরী বরকতউল্লাহ, স্বামী ইন্তেখাব দিনার, মেয়ে ঊর্বানাসহ বিজরী বরকতউল্লাহের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের প্রসঙ্গও এসেছে ‘রাঙা সকাল’-এ।
রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র উপস্থাপনায় ‘রাঙা সকাল’ প্রযোজনা করছেন জোবায়ের ইকবাল।