শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাল ফিল্মপাড়া। বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়ে উঠেছে দুই প্যানেল। রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে পরিচিতি সভা করেছে মিশা-জায়েদ প্যানেল।
এ সময় সভাপতি মিশা সওদাগর দাবি করেন, শিল্পী সমিতির ফান্ডে ১২ লাখ টাকা জমা আছে, যা গেল মেয়াদে দায়িত্বে থাকাকালে তারা করেছেন। এটি সমিতির ইতিহাসে প্রথম। ২০২২-২৪ মেয়াদে দায়িত্ব পেলে এই টাকা ৫০ লাখ করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মিশা সওদাগর।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ইলিয়াস কাঞ্চনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে গত মেয়াদে আমাদের যে বার্ষিক বনভোজন হয়ে থাকে তা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ফলে টাকা খরচেরও খাত তৈরি হয়নি। যে কারণে ফাণ্ডের টাকা ফাণ্ডেই থেকে গেছে। আর যদি বনভোজন অনুষ্ঠিত হতো তাহলে কি এই টাকার কতটা ফাণ্ডে থাকতো। সংগঠনের ফাণ্ড সংগঠনেরই একটা অংশ। কাজ হলে খরচ হবে, কাজ না হলে উদ্বৃত্ত থেকে যাবে। এটা শিল্পীদের আমানত।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, আমি ১৯৮৯ সালে যখন সাধারণ সম্পাদক ছিলাম তখন ৩ লাখ টাকা রেখে এসেছিলাম। এখনকার টাকার মূল্যায়নে সেই ৩ লাখ টাকা এখন কত হবার কথা?
এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, আমাকে নির্বাচনে আনা হয়েছে শিল্পী সমিতির মর্যাদা সমুন্নত করার জন্য, শিল্পীদের মর্যাদা ধরে রাখার জন্য। নানা কারণে শিল্পী সমিতি সম্পর্কে নেতিবাচক কথা অনেকে বলে থাকেন। যা আমাকে ভাবিয়েছে, অনেককেই ভাবিয়েছে, সেই ভাবনা থেকেই আমার আাসা। আমি একজন শিল্পী। শিল্পী হিসেবে একজন মানুষ, শিল্পীদের ভাই, বন্ধু। আমি শিল্পীদের সঙ্গেই ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
এদিকে টানা তৃতীয়বারের মতো সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন মিশা-জায়েদ। আগের কমিটির ১৭ জনের সঙ্গে নতুন ৪ মুখ নিয়ে গঠিত হয়েছে তাদের প্যানেল। এ প্যানেলের অন্যতম আকর্ষণ চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
অন্যদিকে একেবারেই নতুন একটি প্যানেল কাঞ্চন-নিপুণ। সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এ প্যানেল। কাঞ্চন-নিপুণের সঙ্গে আছেন রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিল খানের মতো জনপ্রিয় শিল্পীরা।
আগামী ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। এবারের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন মোট ৪২৮ জন শিল্পী। এরই মধ্যে খসড়া ভোটারা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা শহীদুল হারুন।