নাসিম রুমি: ঢালিউডে নারীকেন্দ্রিক গল্পের সিনেমা খুব একটা হয় না। ইন্ডাস্ট্রির সূচনালগ্নে নারী শিল্পীরা প্রাধান্য পেলেও বিগত বছরগুলোয় ভারতের সাউথ ইন্ডাস্ট্রি ঘরানার গল্পের চলচ্চিত্র নির্মাণের ফলে নারী শিল্পীরা গুরুত্ব হারাচ্ছেন। যদিও দক্ষিণী সিনেমায় নয়নতারার মতো লেডি সুপারস্টার রয়েছেন। কিন্তু দেশের নির্মাতারা নায়িকাপ্রধান সিনেমা নির্মাণে অজানা কারণে উৎসাহবোধ করেন না।
এর মাঝেও বেশ কিছু নারীকেন্দ্রিক গল্পের সিনেমা হয়েছে। তবে খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। চলতি বছর মুক্তি পাওয়া বলিউডের নারীকেন্দ্রিক গল্পের ‘ক্রু’ সিনেমা ব্যাপক সাড়া ফেলে। টাবু, কারিনা কাপুর খান ও কৃতি শ্যানন অভিনীত এই সিনেমা দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করে। তিন বিমানবালাকে নিয়ে গল্পে নানা ঘটনা উঠে আসে।
‘ক্রু’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের আলোচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুনও এমন সিনেমা নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু শাকিব খান ও বলিউডের সোনাল চৌহান অভিনীত মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘দরদ’র পরিচালককে আশাহত করেন ঢাকাই সিনেমার একাধিক তারকা।
মামুন চার নায়িকা নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণের স্বপ্ন বুনেন। তার মধ্যে চতুর্থ নায়িকা আগেই চূড়ান্ত করেন তিনি। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া ও মাহিয়া মাহিকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন নির্মাতা মামুন। কিন্তু ঝামেলা বাধে চতুর্থ নায়িকা নিয়ে। ওই নায়িকার নাম শুনেই নুসরাত ফারিয়া ও মিম কাজটি ফিরিয়ে দেন। আগেই চূড়ান্ত হওয়া চতুর্থ নায়িকার সঙ্গে নাকি স্ক্রিন শেয়ার করতে আপত্তি রয়েছে তাদের।
কারণ মিম-ফারিয়াদের আলাদা দর্শক শ্রেণি রয়েছে। তারা নিজেদের সমতুল্য কারও সঙ্গেই স্ক্রিন শেয়ার করতে চান। মাহি-মিম-ফারিয়ার একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে কোনো আপত্তি নেই। তবে আর কাউকে যদি নায়িকা হিসেবে নেওয়া হয় তাহলে তাদের সঙ্গে মানানসই কাউকেই নিতে হবে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন! স্বল্প পরিচিত ওই নায়িকার পরিবর্তে যদি জয়া আহসান কিংবা দিলারা হানিফ পূর্ণিমাকে কাস্ট করা হয়; তাহলে তিন নায়িকার কারও আপত্তি নেই বলে জানা গেছে।
এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েন পরিচালক। সময়ের আলোচিত ও জনপ্রিয় নায়িকাদের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে দিশেহারা মামুন।