দেশবরেণ্য কন্ঠশিল্পী-সঙ্গীত পরিচালক, নজরুল সঙ্গীত বিষয়ক শিক্ষক সোহরাব হোসেন-এর আজ অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২৭ ডিসেম্বর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে, ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কিংবদন্তীতুল্য নজরুল সংগীত জগতের জনপ্রিয় এই কন্ঠশিল্পীর মৃত্যুদিবস-এ তাঁর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সোহরাব হোসেন ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার, আয়েশাতলা গ্রামে, জন্মগ্রহন করেন। তিনি সর্বপ্রথম ওস্তাদ জয়নুল আবেদিন এবং কিরণ দে চৌধুরীর কাছে উচ্চাংগ সংগীতে তালিম নেন।
তারপর পূরবী দত্তের কাছে নজরুল সংগীতে তালিম নেন।
তিনি কলকাতায় সর্বপ্রথম শ্রীরংগম থিয়েটারে গায়ক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৪০ থেকে ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা বেতারে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশবিভাগের পর ঢাকায় এসে, আব্বাস উদ্দিন আহমদের সহযোগিতায় সরকারী তথ্যবিভাগে যোগ দেন। ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনে নজরুল সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।
সোহরাব হোসেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও নেপথ্য কন্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি যেসব ছবিতে নেপথ্য কন্ঠ দেন সেগুলো হলো- মাটির পাহাড়, যে নদী মরু পথে, রাজধানীর বুকে, এদেশ তোমার আমার, গোধূলীর প্রেম, শীত বিকেল এবং আগুন্তক অন্যতম ।
তিনি মঞ্চ নাটকের সাথেও জড়িত ছিলেন। কার্জন হল, ব্রিটানিয়া হল’সহ অনেক জায়গায়, বিভিন্ন নাটকে করেছেন। তুলসী লাহিড়ীর ‘ছেঁড়া তার’ নাটকেও অভিনয় করেন তিনি।
তিনি ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা, বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর নজরুল সংগীত বিষয়ক শিক্ষক, শিল্পকলা একাডেমীর নজরুল সংগীত বিষয়ক শিক্ষক, নজরুল একাডেমীর নজরুল বিষয়ক শিক্ষক এবং নজরুল সংগীত প্রামাণীকরন পরিষদ এবং নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্ট্রী বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
নজরুল সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য সোহরাব হোসেন ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি নজরুল একাডেমী পদক, চ্যানেল আই সম্মননা, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা ও মেরিল প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা লাভ করেন।
কিংবদন্তীতুল্য সংগীতজ্ঞ সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে, চির অম্লান।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন