নাসিম রুমি: গত বছরটা দেওল পরিবারের জন্য মনে রাখার মতো ছিল। ‘রকি অওর রানি’তে ধর্মেন্দ্রের অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হওয়ার পর সানি দেওলের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার ‘গদর ২’ মুক্তি পায়। এরপর ববি দেওলের ‘অ্যানিমেল’ দিয়ে বাজিমাত। বললে বাড়াবাড়ি হবে না, দেওলদের ক্যারিয়ারের একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে কেটেছ এটি। তবে এ সময়টার জন্য করতে হয়েছে অপেক্ষা, হাল ছাড়েনি ধর্মেন্দ্র পুত্ররা। বিশ্বাস ছিল সুদিন আসবে।
এমনিতে দেওল পরিবারের সদস্যরা বেশ আবেগপ্রবণ। অনুরাগীদের সামনে হোক অথবা সংবাদমাধ্যমের ভিড়, আবেগে চোখে পানি এলে বিব্রতবোধ করেন না তাঁরা।
বিষয়টি নিয়ে এবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ববি দেওল জানিয়েছেন, পুরো দেওল পরিবারই আবেগপ্রবণ। তাঁর কথায়, ‘দেওল পরিবারের প্রতিটি পুরুষ কাঁদেন। আর এটার জন্য আমরা বিব্রত বোধ করি না।’ তিনি আরও জানান, দেওল পরিবারের প্রত্যেকেই ভীষণ আবেগী এবং এ ভাবেই খুশি তাঁরা।
‘পুরুষদের চোখে জল আসে না’, ভারতে প্রচলিত এই মতবাদে চাপা পড়ে আবেগ লুকিয়ে রাখতে নারাজ দেওল পরিবার। আবেগে চোখে পানি এলে বিব্রত বোধ করেন না তাঁরা। ধর্মেন্দ্র নিজে এই মতবাদে বিশ্বাসী এবং দুই পুত্র সানি ও ববিকেও শিখিয়েছেন এটা স্বাভাবিক অনুভূতির প্রকাশ মাত্র।
শুধু দুঃখ, রাগ, ক্ষোভের কারণেই মানুষের চোখে পানি আসে এমন নয়। সাফল্যের খুশিতেও চোখ ভিজে আসে অনেক সময়। ববি জানান, খেলার মাঠে জয়ী হওয়ার পরে খেলোয়াড়ের চোখ ভিজে যায় কান্নায়। কঠোর পরিশ্রমের পরে যখন সাফল্য আসে, তখন আসে এই আনন্দাশ্রু।
বর্তমানে তাঁদেরও একই পরিস্থিতি। ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলেন তিনি। দীর্ঘ ২২ বছর পর ‘তারা সিং’ হয়ে বক্স অফিসে দাপট দেখিয়েছেন সানি দেওল। অন্যদিকে ‘রকি অওর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমার মাধ্যমে কামব্যাক করেন ধর্মেন্দ্র। সাফল্যের চূড়ায় দুই সন্তান ও বাবা। এ সাফল্যে তো চোখে আনন্দাশ্রু আসাটা স্বাভাবিক।